রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০১৬, ০৮:০২:৩৪

আজব কাণ্ড, রোলস রয়েস গাড়ি চেপে অন্যের চুল কাটতে যান কোটিপতি নাপিত

আজব কাণ্ড,  রোলস রয়েস গাড়ি চেপে অন্যের চুল কাটতে যান কোটিপতি নাপিত

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সালমান খান, আমির খান কিংবা ঐশ্বর্য রাই বচ্চন তার ক্লায়েন্ট।  এ তো গেল সিনে জগতের কয়েকজন।  আরো বহু কেষ্টবিষ্টুই চুল কাটানোর দরকার হলে তাকেই ডাকেন।  তিনি ঠিক সময়েই পৌঁছে যান তার রোলস রয়েসটিতে চড়ে।  হ্যাঁ, ঠিকই এ গাড়ি চড়েই চুল কাটতে যান জি রমেশ বাবু।  পেশায় নাপিত হলেও যিনি কোটিপতি।

সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানা গেছে।

চুল কাটার মতো পেশার সঙ্গে আর্থিক সমৃদ্ধির খুব একটা যোগাযোগ নেই। বেঙ্গালুরুর রমেশ বাবুর জীবনকাহিনী তাই সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।  মাত্র ৭ বছর বয়সে বাবার মৃত্যু। সম্বল বলতে ছিল বাবার রেখে যাওয়া চুল কাটার দোকানটি।  

উপার্জনের সেই একমাত্র পথ। তাই অল্পবয়স থেকেই কাজে লেগে পড়তে হয়েছিল রমেশ বাবুকে। তবে নিজের পেশাকে কোনওদিন ছোট করে দেখেননি। আর তাই পেশা যাই হোক না কেন, সে পেশাতেই সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছনোর স্বপ্ন দেখতেন তিনি। আজ তিনি সে স্বপ্নে সফল।

পাশাপাশি আরো একটা স্বপ্ন দেখতেন তিনি।  নিজের একটি গাড়ির আশা ছিল তার।  চুল কাটার পেশাকে হাতিয়ার করেই প্রথমে কিনেছিলেন একটি মারুতি ওমনি।  ধীরে ধীরে গাড়ির নেশাকে আরো একটি পেশায় রূপান্তরিত করেন কুশলী রমেশ বাবু।

গাড়ি ভাড়া দেয়ার একটা এজেন্সি খোলেন তিনি। লক্ষ্মীলাভ তাতে বাড়তেই থাকে। ধীরে ধীরে কোটিপতি হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু তাতেও শিকড় ভুলে যাননি।  আজও চালিয়ে যাচ্ছেন চুল কাটার কাজ।  বাবার রেখে যাওয়া দোকান করে তুলেছেন ঝাঁ চকচকে।

নাম দিয়েছেন ‘ইনার স্পেস'।  সেই দোকানই আজও তাঁর কাছে রুটি-রুজির ভরসা।  তাই রমেশ বাবু বলেন, ‘কাজকে সবসময় পুজোর মতোই দেখে এসেছি। আর যে কাজটা আমি করি তাও দক্ষতার। যতদিন আমি আছি ততোদিন তো বটেই, আশা করব পরেও আমার সাঁলো রমরমিয়ে চলবে।'

শিকড়ের ডানা হওয়ার স্বপ্ন সত্যি করেই তিনি আজ কোটিপতি।  আবার ডানার শিকড় হওয়ার মতো করেই আজও পুরনো পেশাকে ছুঁয়ে আছেন তিনি। ঘটিয়েছেন মেলবন্ধন। আজও তিনি ক্লায়েন্টের ডাক পেলে চুল কাটতেই যান। তবে হ্যাঁ, পৌঁছেন তার শখের রোলস রয়েসটিতে চড়েই।
২৭ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে