এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : না, এটি কোন নরকের আগুন নয় এটি শুধুমাত্র প্রাকৃতিক কিংবা মানবসৃষ্ট কোন কারণে তৈরি হয়েছে। বড়ই বিচিত্র এই পৃথিবী। পৃথিবীতে রয়েছে এমন কিছু স্থান যেখানে অবিরত জ্বলছে আগুন। এমন কিছু স্থান নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন আমরা আপনাদের সেই সকল স্থান সম্পর্কে পরিচিত করে তুলবো।
১. ডোর টু হেল বা নরকের দরজা : ডোর টু হেল বা নরকের দরজা এশিয়া মাইনরের তুর্কমেনিস্থানের দারওয়েজা গ্রামে অবস্থিত। নাম শুনেই পিলে চমকে উঠবেন না এটি মুলত একটি ৭০ মিটার ব্যাসের ২৫ মিটার গভীর গর্ত। ১৯৭০ সালে সোভিয়েত রাশিয়ার একদল বিজ্ঞানী প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত এই গর্তটি তৈরি হয় এবং আগুন জ্বলতে থাকে।
২. সেন্ট্রালিয়া, যুক্তরাষ্ট্র : ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভিয়ার সেন্ট্রালিয়ার কয়লা খনির বিস্ফোরণে এই ফাটল ধরে এবং পুরো এলাকাটি ঢেবে যায়। এরপর মাটির ভেতর থেকে ধোয়া বের হতে শুরু করে।
৩. অর্কিড পার্ক, নিউইয়র্ক : এটি নিউইয়র্কের কাউন্টি পার্কের একটি ঝরনার তলদেশে পানির ভেতরে অবস্থিত। গ্যাসের আগুন বলে এটি ক্রমাগত জ্বলতেই থাকে। এটিকে কাউন্টির লোকেরা ফাউন্টেইন লাইটার বলে থাকেন।
৪. স্মোকিং মাউন্টেইন : ইথিওপিয়ার ভাষায় স্মোকিং মাউন্টেইন হলো ইরতা আলে। এটি ইথিওপিয়ার মরুভুমিতে অবস্থিত। এটির উচ্চতা প্রায় ৬১৩ মিটার।
৫. ঝাড়িয়া কয়লাক্ষেত্র, ভারত : ভারতের ঝাড়খন্ডে এটি অবস্থিত। এখানে ভারতের একটি গুরুত্তপুর্ন কয়লা খনি ছিল। ব্রিটিশ শাসনামলেই এখানে একটি বিস্ফোরণ ঘটে, এরপর থেকেই এখানে জ্বলছে এই কয়লাখনি।
৬. গুয়ানজিলিং, তাইওয়ান : তাইওয়ানের গুয়ানজিলিং শহরে এই জলন্ত আগ্নেয় শিখাটি অবস্থিত। এটিকে স্থানীয় ভাষায় আগুন-জলের গুহা বলা হয়। জনশ্রুতি অনুযায়ী, এটির বয়স প্রায় ৩০০ বছর।
৭. ইয়ানার ডাক,আজারবাইজান : আজারবাইজানের অধিকাংশ এলাকাকে আগুনের ভূমি বলা হয়। তারমধ্যে একটি ইয়ানার ডাক নামে পরিচিত। এই পাহাড়ে আগুনের ফুলকি ৯ ফুট পর্যন্ত উচুতে উঠে থাকে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
পৃথিবীটা আসলে বড়ই বিচিত্র করে সাজিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা। কোথাও সবুজ ছায়াময় ভূ-স্বর্গ, কোথাও আবার মরুভূমি, আবার কোথাও এমন অগ্নিকূপ। তারপরও মানুষ এই সবরকম প্রতিকূল পরিবেশকে সাথে নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে দূরের কোন অজানা এক স্বপ্নে