এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মায়ের আঁচলের তলায় থাকা যারা ভদ্র ছেলে, শান্তশিষ্ট, পড়াশোনা বা জীবনের অ্যাম্বিসন সম্পর্কে সিরিয়াস সেসব ছেলেদের পছন্দ করেন না মেয়েরা।
কোনো মেয়ে তাকে প্রেমিক হিসেবে মানতে চায় না বা মেনে নিলেও বেশিদিন স্থির থাকে না। যদিও এ তথ্য বিভিন্ন ওয়েবপোর্টাল বা ম্যাগাজিনের অ্যানালাইসিসে উঠে এসেছে তারপরও কথাটি আপনাকে ভাবিয়ে তুলতে পারে। ওয়েবপোর্টাল বা ম্যাগাজিনের অ্যানালাইসিসে উঠে আসা তথ্যগুলোর মধ্যে-
১। গায়ে পড়া স্বভাব নেই- এদের তাই কারো সাথে সহজে বন্ধুত্ব হয়ে উঠে না। তার মধ্যে মেয়েদের সংখ্যাতো আরো কম। এ বন্ধুত্বের পরিধিও কম। নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকতে এরা পছন্দ করে।
২। প্রেমের কলাকৌশল এদের জানা থাকে না বা থাকলেও তারা তা প্রয়োগ করতে পারে না। প্রতারণা করাতো তাদের পক্ষে অসম্ভব ব্যাপার। তাই প্রেমিকার কাছে নিজের গুরুত্ব তৈরি করতে পারে না।
৩। ভালো ছেলেরা কখন কি করবে তা সহজেই যে কেউ বুঝতে পারে। তাই তাদের মধ্যে কোনো রহস্যের কিছু থাকে না। কিন্তু বিগড়ে যাওয়া ছেলেদের প্রেমে পড়াই মেয়েদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। কারণ তাদের শুধরানো তাদের একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। যে কারণে দুষ্টু ছেলেদের প্রেমে পড়তে মেয়েরা ভালোবাসে।
৪। ভালো ছেলেরা কখনো বাবা মায়ের মনে কষ্ট দিতে চায় না। নিজের সব সিদ্ধান্তে বাবা-মাকে সামিল করে। মেয়েরা তার প্রেমিক তাকে ছেড়ে তার বাবা-মার কথামতো চলবে, এ কারণে তারা ভালো ছেলেদের পছন্দ করে না।
৫। ভালো ছেলেরা নিজের ক্যারিয়ারের চিন্তায় প্রেমিকাকে সময় কম দেয়। যে কারণে মেয়েরা গুড বয়দের পছন্দ করে না। তারা চায় মুক্ত বিহঙ্গের মত প্রেকিককে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে।
৬। ভালো ছেলেরা সবসময় সিরিয়াস থাকে। প্রেমের ক্ষেত্রেও তারা প্রথম থেকেই খুব সিরিয়াস হয়ে পড়ে। যে কারণে তারা প্রেমিকার ওপর খবরদারি শুরু করে এবং এ কারণে মেয়েরাও তাদের অপছন্দ করে।
৭। ভালো ছেলেরা সাধারণত খুব আবেগী হয়ে থাকে। ছোটখাটো বিষয়ে তাদের আবেগ প্রেমিকার মনে বিরক্তির উদ্রেগ করে এবং স্বভাবত এ কারণে তারা ভালো ছেলেদের থেকে দূরে থাকে।
৮। ভালো ছেলেরা জানে না প্রেমিকাকে কখন কি বলতে হবে। তাই তারা প্রেমিকাকে খুশি রাখতে পারেন। ভালো ছেলেরা ভালো যৌন সঙ্গীও হতে পারে না।
৯। ভালো ছেলেদের দুর্বল মন প্রেমিকার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু দুষ্টু ছেলেরা নিজেকে হিরো সাজিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তাই প্রেমিকাও নিশ্চিত থাকে।
আদর্শ ছেলে হিসেবে তাই জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। ভালো এবং খারাপ এই দুইয়ের মাঝে সামঞ্জস্যও ঠিক রাখতে হবে। তবেই জীবনকে উপভোগ করতে পারবে।