এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বিয়ের পরে স্বামীকে নিয়ে প্রথম কয়েকদিন বেশ ভালোই কেটে যায়। তারপর আস্তে আস্তে শুরু হয় বিপত্তি। সন্দেহ, অবিশ্বাস কিংবা ছোট ছোট ঝগড়াগুলোই বড় হতে থাকে ধীরে ধীরে। বোঝাপড়ার অভাব থেকে বাড়তে থাকে দূরত্ব এবং তারপরেই ডিভোর্স।
বিয়ের মেয়েদের যেসব সমস্যায় পড়তে তা মূলত বোঝাপড়ারই সমস্যা। তবে সবার ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলো একই হবে, তা কিন্তু নয়। নিচে এরকম কয়েকটি সমস্যার কথা বলা হলো-
রক্ষণশীলতা
রক্ষণশীলতা মোটেও খারাপ বিষয় নয়, তবে বাড়াবাড়িটাও ভালো নয়। স্ত্রীর ওয়েস্টার্ন পোশাক পরা পছন্দ করেন না এমন লোক তো আছেই। এমনকি অনেকে অফিসের কলিগ বা অন্য বন্ধুদের সাথে স্ত্রীকে পরিচয়ও করিয়ে দিতে চান না। এমন রক্ষণশীল মানুষরা নিজেরা অস্বস্তিতে তো ভোগেনই, বাড়ির মানুষদেরও যন্ত্রণা দেন।
বদমেজাজ
বিয়ের পর আবিষ্কার করলেন আপনার স্বামী অল্পতেই রেগে যান। সামান্য ব্যাপারেই মাত্রাতিরিক্ত রাগ সম্পর্কে ভয় সৃষ্টি করে, স্বতঃস্ফূর্ততা হারায়। সংসারে নেমে আসে দম বন্ধ করা থমথমে পরিবেশ। প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত।
কার্পণ্য
বিয়ের পর বেড়াতে গিয়ে টের পেলেন কোথায় যেন সমস্যা। বুঝতে পারলেন বিয়ের আগে বাবা-মায়ের সাথে বেড়াতে গিয়ে যেভাবে ঘুরেছেন বা থেকেছেন, তেমনটা হচ্ছে না। আর্থিক অস্বাচ্ছন্দ্যের কারণে নয়, স্বামীর কিপটেমিই এর কারণ।
সন্দেহবাতিক
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে ঘুণ ধরাতে পারে এই মারাত্মক প্রবণতা। গোড়াতেই এর বিশ্লেষণ এবং সমাধান প্রয়োজন। স্বামীর মনে সন্দেহ দানা বাঁধছে এটা অনুমান করা মাত্র আপনার হাবভাব, আচার-আচরণ, কথাবার্তায় একটা পরিবর্তন নিয়ে আসুন। তার বিশেষ কোনো অভাববোধ থাকলে সেটা বুঝে নিয়ে তা পূরণ করার চেষ্টা করুন। দুজনে একসাথে সময় কাটান। বিশেষ কোনো দরকার না থাকলেও ফোন করে, এসএমএস করে খোঁজখবর নিন। তিনি যেন বুঝতে পারেন যে আপনি তার ব্যাপারে খেয়াল রাখেন, ভালোবাসেন এবং সব সময় পাশে থাকবেন।
দায়িত্বজ্ঞানের অভাব
সংসারের দায়িত্ব দুজনেরই। সেক্ষেত্রে স্বামীর দায়িত্বজ্ঞানের অভাব থাকলে পরিস্থিতি যথাযথ পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। স্বামীকে কাজের দায়িত্ব দিন, সব কাজ নিজের ঘাড়ে নিলে কোনো সমাধান তো হবেই না, বরং সমস্যা বাড়বে।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/