এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রহস্যগল্প লেখা হয়েছে গুপ্তধন উদ্ধারের কাহিনী নিয়ে। হাকলবেরী ফিন থেকে শুরু করে টিনটিন; স্টিভেন স্পিলবার্গের মতো মেধাবী পরিচালকদের হাত ধরে এই চরিত্রগুলো রূপান্তরিত হয়েছে হলিউডি সিনেমায়। আর গুপ্তধন উদ্ধারের মতো রোমান্সকর অভিযাত্রা পৃথিবীতেও আছেও খুব কম।
তবে সম্প্রতি লরেন্স এগারটন গুপ্তধন উদ্ধার করলেন সম্পূর্ণ ভাগ্যের ছোঁয়ায়। বৃটেনের ডেভোনে পাশের জমিতে হাটতে গিয়ে তিনি খোঁজ পান রোমান সম্রাজ্যের প্রায় ২২ হাজার মুদ্রার! মাটির তলা থেকে মেটাল ডিটেকটরের সহায়তায় মুদ্রাগুলো উত্তোলন করেন তিনি।
লরেন্স এই বিপুল পরিমান গুপ্তধনের সন্ধান পেলেও টানা তিনদিন তিনরাত তিনি স্থানটি পাহাড়া দিয়ে রাখেন। যাতে অন্য কেউ এসে এই সম্পদ চুরি করতে না পারে। প্রত্নতাত্ত্বিকেরা আসার পর তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সবকিছু বুঝিয়ে দেন।
প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, মাটির নিচে পাওয়া রোমান সাম্রাজ্যের ২২ হাজার মুদ্রাগুলো তামার তৈরি। হয়তো কোনো সৈনিক বা কোনো ধনী ব্যক্তি এগুলো লুকিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু পরে আর তা উদ্ধার করা হয়নি।
রোমান সাম্রাজ্যে দুজন সৈনিককে তাদের এক বছরের বেতন হিসেবে চারটি স্বর্ণের মুদ্রা দেয়া হতো। অপরদিকে একজন শ্রমিককে দুই বছরের বেতন হিসেবে দেয়া হতো একটি মুদ্রা। রোমান সমাজ ব্যবস্থায় দাস বা শ্রমিকদের অবস্থা যে ভালো ছিল না তা বিভিন্ন বৈষম্যের চিত্র থেকে সহজেই জানা যায়। কিন্তু প্রত্নতাত্ত্বিকেরা বলছেন, বিপুল পরিমান মুদ্রা মানেই সরকারি প্রশাসন জড়িত। তার মানে এই মুদ্রাগুলোর সঙ্গে তৎকালীন রোমান রাজপুরুষদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। যদিও তা আজ আর জানা সম্ভব নয়।
এদিকে রয়্যাল আলবার্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়াম রোমান সাম্রাজের এই মুদ্রাগুলো কেনার জন্য সাধারণের কাছ থেকে অর্থ উত্তোলন করছে। রোমান সাম্রাজ্যের অনেক চিহ্ন এই জাদুঘরটিতে সংরক্ষিত আছে।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/