বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:৩২:০০

ভারতের দশটি 'ভুতুড়ে' স্থান

ভারতের দশটি 'ভুতুড়ে' স্থান

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মালচা মহল- দিল্লি আর্থ স্টেশনের পাশেই বিস্তদারি রোডের ধারেই রয়েছে মালচা মহল। বুদ্ধ জয়ন্তী পার্কের পিছনের নিয়ন্ত্রিত জঙ্গল এলাকার মধ্যে এই প্রাসাদ। এই মহলকে বিস্তদারি মহল বলেও পরিচিত। এই প্রাসাদ এলাকায় ঢুকলেই এক গা ছমছমে অনুভূতি। অযোধ্যার নবাবের বংশধর যুবরাজ রিয়াজ ও রাজকন্যা সাকিনা এবং তাঁদের মা বেগম উইলায়াত মহলকে সরকার এই মহল দিয়েছিল। সারা দেশে তাদের সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন লড়াই চালিয়েছিলেন বেগম। সেজন্যই তাকে এই মহল দেওয়া হয়েছিল। পরে বেগম হীরের আংটির বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন বলে জানা যায়। তার পড়ার ডেস্কে ১০ দিন ধরে তার দেহ পড়েছিল। সমাধির আগের রাতেও তার পুত্রকন্যা বেগমের সঙ্গেই ছিল।

শানিওয়ারওয়াড়া দুর্গ, পুনে: এই দুর্গে নাকি এক যুবরাজের ভূত ঘুরে বেড়ায়। মাত্র ১৩ বছর বয়সে এক আত্মীয়র হাতে খুন হন নারায়ন নামের ওই রাজপুত্র। রাতের অন্ধকারে রাজপুত্ সারা দুর্গে প্রাণের ভয়ে ছুটে বেড়িয়েছিল। কিন্তু আততায়ীর হাতে থেকে বাঁচতে পারেনি সে। ছুটতে ছুটতে সে নাকি সাহায্যের আর্ত চিত্কার করেছিল- কাকা, আমাকে বাঁচাও। তার সেই আর্তনাদ নাকি এখনও পূর্নিমার মাঝরাতে শোনা যায়।

 জিপি ব্লক,মীরাট: ভারতের আর এক ভুতুড়ে স্থান মীরাটের জিপি ব্লক। পুরানো একটি পরিত্যক্ত দোতলা বাড়িটি চার ভূতের চারণ ক্ষেত্র বলে কথিত আছে। ওই চারজন নাকি একটি টেবিলে মোমবাতি জ্বালিয়ে আজও মদ্যপান করে। ওই বাড়িতে লাল পোশাক পরা এক মহিলাকে মাঝেমধ্যেই দেখা যায়।

 ভানগড় দুর্গ: রাজস্থানের জয়পুর ও আলওয়ারের মাঝের একটি জায়গায় রয়েছে ভানগড় দুর্গ। ভারতের পুরাতাত্তিক সর্বেক্ষণ সংস্থা একে ভুতুড়ে স্থানের আখ্যা দিয়েছে এবং অন্ধকার নামলে দুর্গে প্রবেশ করার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে।দুর্গের বাইরে সতর্কবাণী স্মবলিত একটি সাইনবোর্ডও রয়েছে।এই দুর্গে রাতের অন্ধকারে এখনও কেউ যায় না।

দুমাস বিচ, গুজরাত: সুরাটের ২১ কিমি দূরের দুমাস বিচ কালো বালির জন্য বিখ্যাত। অনেক আগে হিন্দুদের মরদেহ এখানে সমাধিস্থ করা হত। দিনের আলোয় ঝলমলে বিচ রাতের অন্ধকারে গা ছমছমে রুপ ধারণ করে। অশরীরি কন্ঠ নাকি আগন্তুকদের আর বেশি না এগিয়ে ঘরে ফিরে যেতে নির্দেশ দেয়। কুকুররা এই বিচে এলে নাকি অস্বাভাবিক আচরণ করে।

 মাহিমের ডি’সুজা চাওল, মুম্বই: স্থানীয়দের মতে এই চাওল ভুতুড়ে। এখানে এক মহিলা জল তুলতে গিয়ে কুয়োতে পড়ে মারা গিয়েছিলেন। তার আত্মা নাকি এখনও এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। অবশ্য এই ভূত কারুর কোনও ক্ষতি করে না।

 রামোজি ফিল্ম সিটি, হায়দরাবাদ: অদ্ভূত অদ্ভূত ঘটনার জন্য এই জায়গাও সুপরিচিত। যে জায়গায় এই ফিল্মসিটি গড়ে উঠেছে সেখানে নাকি এক নিষ্ঠুর যুদ্ধের বলি কয়েক হাজার মানুষকে কবরস্থ করা হয়েছিল।

 দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট, দিল্লি: দিল্লির এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেতে এই প্যাসেজ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, এই এলাকাটি ভুতুড়ে বলে পরিচিত। এই রাস্তায় নাকি সাদা পোশাক পরা এক মহিলা গাড়িতে লিফ্ট পাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন। তার কাছে গেলে দ্রুত গতিতে দৌড়ে পালিয়ে যান। অনেকেই তাকে রাস্তার ধারে বসে থাকতে দেখেছেন।

 টানেল ৩৩, শিমলা: শিমলা-কালকা রোডে রয়েছে এই টানেল। অনেকেই এই টানেলে ভূত দেখেছেন বলে দাবি। এই টানেলে কর্নেল বারোগ নামের এক ব্যক্তির ভূত নাকি আজও ঘুরে বেড়ায়। ১৯০১-এ এই টানেলের কাজ শেষ করার দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়। কিন্তু হিসেবের ভূলের জন্য কাজ পণ্ড হয়ে যায়। এ কারণে তার এক টাকা জরিমানা হয়।এতে অসম্মানিত বোধ করে আত্মহত্যা করেন তিনি। কিন্তু তার আত্মা নাকি আজও টানেলে ঘুরে বেড়ায়।

 ডাউ হিল, পশ্চিমবঙ্গ: দার্জিলিংয়ে রয়েছে এই ডাউ হিল। একটি পাহাড়ের মাথায় রয়েছে ঘন বন। এই বনে নাকি শিহরণ জাগানো শব্দ শোনা যায় ও অশরীরীদের দেখা যায়। সূত্র- এবিপি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে