এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আজব কাণ্ড, মানুষখেকো বাঘকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট! পাঁচ বছরে চার-চারটি মানুষ খুন করেছে বাঘটি। রণথম্বোরের অভয়ারণ্য থেকে এবার সোজা সজ্জনগড় জুলজিকাল পার্ক। জঙ্গলের মুক্ত জীবন ছেড়ে এবার ঠিকানা চিড়িয়াখানার খাঁচায়।
হ্যাঁ, চারটি মানুষ খুনে দোষী উস্তাদ পূর্ণবয়স্ক বাঘটিকে এমন সাজা দিয়েছেন আদালত। বাঘটি যে মানুষখেকো তা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চিড়িয়াখানায় পাঠিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিলেন শীর্ষ আদালত।
রাজস্থানের রণথম্বোরের উস্তাদ নামের এ বাঘটি যার সাংকেতিক নাম টি-২৪। গত পাঁচ বছরে চারজন মানুষ মেরেছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। মানুষখেকোতে ওস্তাদ একটি বাঘকে বাইরে ছেড়ে রাখা মানুষের পক্ষে নিরাপদ নয় বলে জানান ফরেস্ট অফিসাররা।
কিন্তু উস্তাদের এই 'শাস্তি' মেনে নিতে পারেনি পশুপ্রেমী সংগঠনগুলো। বাঘ সংরক্ষণ কর্মী অজয় দুবে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং-এর মাধ্যমে আদালতে পাল্টা আবেদন করেন।
এভাবে একটি পূর্ণবয়স্ত বাঘকে তার এতদিনের বাসস্থান থেকে কয়েকশ' কিলোমিটার দূরে সরিয়ে দেয়া যায় না বলে দাবি করেন তিনি। সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুর, বিচারপতি বনুমাথি ও বিচারপতি ইউইউ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ অবশ্য অজয় দুবের আবেদন খারিজ করে দেন।
উস্তাদ-ই যে চারজন মানুষ খেয়েছে, তার কোনো জোরালো প্রমাণ নেই বলে অভিযোগ করেন ইন্দিরা জয়সিং। চারটি মৃতদেহের আশপাশেই উস্তাদকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল।
তাহলে কি ইন্দিরা এ ঘটনার সাক্ষী চাচ্ছেন বলে তাকে জিজ্ঞেস করেন আদালত। বাঘটি মৃতদেহগুলোকে পাহারা দিচ্ছিল কি না, সে প্রশ্নও ছুঁড়ে দেয়। এরকম একটি বিপজ্জনক বাঘকে বাইরে ছেড়ে রাখা যায় না বলে জানিয়ে দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট।
৩০ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম