এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : 'ঠাস ঠাস দ্রুম দ্রাম' শুনে খটকা লাগলে, সুকুমার রায় মনে করিয়ে দেবেন, পটকা নয় ও আসলে ফুল ফোটার শব্দ৷ কিন্তু একবার 'এপ্রিল ফুল' হলে খটকা মেটানোর আর উপায় নেই৷ আস্ত বোকা বনে যাওয়া ছাড়া হাতে পেনসিলটিও থাকবে না৷ আপনার ধৈর্য যত কমতির দিকে, বাকিদের মজা ততো বাড়তির দিকে৷ অতএব কাকেশ্বরের হিসেব তো কোনোদিনই মিলবে না৷ তাই কী কী ভাবে আপনি বোকা হতে পারেন, আগেভাগেই ভেবে নেয়া ভাল৷ এই চালাকিটুকু করলে বোকা দিনটিকেও বোকা বানানো সম্ভব৷
আসলে এটা যে বোকাদের দিন এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই৷ বরং এ দিনটা চালাকদেরই, যারা অন্যকে বোকা বানাতে পারে৷ আসলে দিনটার ইতিহাসে তো একটু হেয়, একটু চালাকি মিশে আছে৷ একদা মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহেই নতুন বছরের সূত্রপাত হত বলে ধরা হয়৷ উৎসব গড়াত ১ এপ্রিল পর্যন্ত৷ পরে তা বদলে গেল জানুয়ারিতে৷ কিন্তু কিছু মানুষ কিছুতেই তা বিশ্বাস করলেন না৷ তারা মার্চের শেষ থেকে ১ এপ্রিলকেই নববর্ষের উৎসব পালনের দিন ধরে বসে থাকলেন৷ তখন বাকিরা বলল বোকাদের কাণ্ড দেখ! সেই থেকে দিনটা হল বোকাদের নামে৷
মূল কথা হলো, মুসলমানদের ওপর সেদিন গ্রানাডার এক লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে। কিন্তু হায়রে মুসলমান তারা আজো এই দিনটি খুব ঘটা করে পালন করে থাকে। সেদিন মুসলমাদের নিরাপত্তা দেয়ার কাথা বলে একটি মসজিদের ভেতর ঢুকিয়ে আগুন দিয়ে জালিয়ে দেয় ইহুদী-খ্রিস্টানরা। আর সেই দিন মুসলমানদের বোকা বানিয়ে এপ্রিল ফুল পালন করে থাকে তারা। মুসলমানরা কোনো ঘটনা থেকেই শিক্ষা নিতে পারেনি। মহান আল্লাহ চেষ্টা ছাড়া কোনো জাতির ভাগ্যের পরিবর্তন করেন না। যেখানে বান্দার চেষ্টা শেষ সেখানে আল্লাহর সাহায্য শুরু। নেতৃত্ব, দূরদর্শী পরিকল্পনা ও অবিরাম লক্ষ্য অর্জনে চেষ্টার ব্যত্যয় ঘটায় ইসলাম বিরোধীদের আক্রমনের তীব্রতা যেন বেড়েই চলছে।
এখন গ্রানাডা ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তির যাতাকলে মুসলমানরা আর কতকাল নিষ্পেষিত হবে? এর উত্তর যেন কারো জানা নেই। এরপরেও শোককে শক্তিতে পরিণত করে দূরদর্শী পরিকল্পনা নিয়ে মুসলমানরা এগিয়ে গেলে নিঃসন্দেহে একদিন সুদিন ফিরে আসবেই। এখনো সারা বিশ্বের সিংহভাগ সম্পদ ও জনবল মুসলমানদেরই। তাই মুসলমানদের পক্ষেই সব সম্ভব।
আবার কেউ বলেন, রাজা কনস্টানটাইনের সভায় একজন ভাঁড় ছিলেন৷ যিনি বলতেন, রাজার থেকেও ভাল রাজ্যশাসন করতে পারেন তিনি৷ রাজা তাকে এই দিনেই সুযোগ দিলেন, ভাবলেন জব্দ হবে ভাঁড়টি৷ কিন্তু ভাঁড়টি দিব্যি রাজ্য শাসন করেছিলেন, বরং রাজার থেকে ভালই৷ সেই থেকে প্রতিবছর একজন ভাঁড়কে রাজা করা হত৷ ভাঁড়েদের দিন হিসেবে ১ এপ্রিল বোকা বানানোর রেওয়াজ চালু হয়৷
তা সে যে কারণেই চালু হোক না কেন, তবে কী কী ভাবে আপনি বোকা হতে পারেন, দেখে নিন-
১. সকালের বাথরুম থেকেই সতর্ক হোন৷ কমোডের ঢাকনা তুলুন সাবধানে দেখুন সেখানে কেউ ভূতের ছবি আটকে রাখেনি তো৷
২.অফিসে ঢোকার মুখে যদি দেখেন অন্য দরজা দিয়ে ঢোকার কথা বলা আছে, তবে হুট করে পা বাড়াবেন না৷ দিনটার কথা মাথায় রাখুন ও অন্য কাউকে জিজ্ঞাসা করুন৷
৩. কেউ এদিন আদর করে কোল্ড ড্রিঙ্কের গ্লাস বা চায়ের ফাঁক প্লাস্টিক কাপ ধরিয়ে দিলে সতর্ক থাকুন৷ হতে পারে গ্লাসের ছোট ছোট ফুটো করা আছে। একবার চা বা কোল্ড ড্রিঙ্ক ঢাললেই কেল্লাফতে৷
৪. অফিসে কাজ করার সময় কমপিউটারের মাউসের দিয়ে কিছুতেই ক্লিক করতে পারছেন না৷ নাহ আপনার কমপিউটার খারাপ হয়নি৷ দেখুন আশেপাশে কেউ ওয়্যারলেস মাউস নিয়ে আপনার সঙ্গে মজা করছে কি না৷
৫. ফোন ফেলে রেখে উঠে যাবেন না৷ এসে হয়ত দেখবেন অসংখ্যা রাবার ব্যান্ড দিয়ে তা প্যাক হয়ে গিয়েছে৷ খুলতে গিয়ে কালঘাম ছোটার উপক্রম৷
৬.বন্ধু বাড়ির দরজায় গিয়ে দেখতে পারেন, লেখা আছে কলিং বেল খারাপ, কিন্তু ইয়েল লকের বেল ঠিকই আছে৷ ভাবলেন এ আবার কী! ভেবে ক্রমাগত ইয়েল লক প্রেস করতে থাকলেন, অথচ মোটেও বাজল না৷ সন্দেহ নেই আপনি এপ্রিল ফুল হয়েছেন৷
৭. সারাদিন সতর্ক হয়ে আছেন, কিন্তু নিজের জুতোর দিকে খেয়াল করেছেন কি? সকালে দেখেছেন সব ফিতে বাঁধা৷ কিন্তু এমনও তো হতে পারে, সেগুলো যেখানে বাঁধা থাকার কথা সেখানে বাঁধা নেই৷ অন্য কেউ ভুল জায়গায় বেঁধে দিয়েছেন৷ সতর্ক থাকুন৷
তবে এ দিন যতটা না বোকা বনে যাওয়ার, তার থেকেও বেশি মজার৷ তাই একটু যদি মজা হয় মন্দ কী৷ একবার বোকা বনে গেলে মোটেও মাথা গরম করবেন না৷ কেননা সেটা বাকিদের মজার খোরাক দেবে, আপনাকে আরো একবার আখেরে বোকাই বানিয়ে দেবে৷-সংবাদ প্রতিদিন
৩০ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই