এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : অত্যাধুনিক দেশগুলিতে রাস্তাঘাটে হরদমই আধুনিক মেয়েদের শর্ট পরে চলাফেরা করতে দেখা যায়৷ পশ্চিমি দেশগুলির দেখাদেখি এখন আমাদের দেশের শহরগুলির মেয়েদের তো শর্টপ্যান্ট পরতে দেখাই যায়, পিছিয়ে নেই আধাশহর বা মফঃস্বলের মেয়েরাও৷ মেয়েরা শর্ট পরে ঘুরলেই ত্রাহি ত্রাহি রব তোলে ‘সো-কলড' নীতি পুলিশের দল৷
জানেন কি শর্ট পরা নিয়ে আপত্তি শুধু রক্ষণশীল দেশগুলিতেই ছিল না, ছিল খোদ ব্রিটেনেও৷ শর্ট প্যান্টের মতোই নিচে পোশাক নিয়ে নানা অজানা কাহিনি যা আপনি জানেন না —
• ইতালির জেনোয়া সৈনিকরা জিনস বলে এক ধরনের কটনের প্যান্ট পরতেন তার থেকেই জিনস প্যান্ট এসেছে৷
• একজন গড়পড়তা আমেরিকানের কাছে গড়ে সাতটি জিনস থাকে৷
• প্রাচীন গ্রিসে শারীরিক কসরত করার সময় ন্যুড হয়ে কসরত করতেন পুরুষেরা৷
• ১৫৮৬ সালে জার্মানিতে প্রথম ফ্যাশন ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়৷
• দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে মেয়েদের শর্ট পরার অনুমতি মেলে৷ কারণটা খুবই অদ্ভুত৷ যুদ্ধের সময় বাড়ির পুরুষদের লড়াইয়ের জন্য বাইরে যেতে হয় আর্থিক স্বাবলম্বীতার জন্য মেয়েরা কায়িক পরিশ্রম করতে বাধ্য হয়৷ কাজের সুবিধের জন্য শর্ট পরার অনুমতি মেলে৷
• পশ্চিমি দেশের মেয়েরা দশ থেকে পঁচিশ শতাংশই গেঞ্জি পরেন না৷ আবার পরলেও ৭৫ থেকে ৮৫ শতাংশ মেয়ে ভুল সাইজের গেঞ্জি পরেন৷
• পুরুষদের শার্টের বোতাম হয় ডানদিকে এবং মহিলাদের বোতাম হয় বাঁদিকে৷
• মধ্যযুগে পোশাকের রং দেখে মানুষের সামাজিক অবস্থান এবং পেশা বোঝা যেত৷ উচ্চ শ্রেণিরা লাল রঙের পোশাক পরত, তেমনই নিম্ন শ্রেণিরা পরত ব্রাউন এবং ধূসর রঙের পোশাক৷ রোমে পার্পল রঙের পোশাক পরার অধিকার একমাত্র ছিল উচ্চশ্রেণির৷
• চপ্পল পরার চল ছিল যিশু খ্রিষ্টের জন্মের আগেও৷
• আরব সমাজে জুতা পরাকে নোংরা স্বভাব বলে মনে করা হয়৷ কারোর দিকে জুতো ছোড়াকে অনেক বড় ধরণের অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়৷
৩০ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই