বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:৫৩:৫৩

মুরগি যখন বিবর্তনের শিকার

মুরগি যখন বিবর্তনের শিকার

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মানুষ যেমন হাজারো বছরের বিবর্তনের ফসল, তেমনি এই মানুষই আগামী কোনো এক সভ্যতায় কেমন হবে তা এখনই বলা মুশকিল। পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণ দীর্ঘমেয়াদি এক বিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। আর এই বিবর্তনের প্রক্রিয়া এতোটাই ধীরে ঘটে যা মূলত হঠাৎ করে ধরা যায় না। তবে যদি পর্যাপ্ত তথ্য ও অনুসন্ধান চালানো যায় তাহলে এই বিবর্তনের গতি বোঝা সম্ভব। যেমনটা মুরগির বিবর্তন সম্পর্কে আমাদের জানাচ্ছেন একদল গবেষক।

বর্তমানে আমরা মুরগি মানেই বুঝি একতাল মাংসের আধার। মোদ্দাকথা, মুরগি যে আলাদা একটা প্রাণী সেই স্বাভাবিক সত্যিটা এখন আর প্রতিষ্ঠিত নয়। বরংচ মুরগি এখন মানুষের খাবার তালিকার অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এর অবশ্য কারণও আছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ সামাল দিতে প্রায় প্রতিটি দেশকেই খাদ্যের মজুদ বাড়াতে নিতে হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপ। কোথাও বা হইব্রিড ধান উৎপাদিত হচ্ছে, কোথাওবা গৃহপালিত গবাদি পশুকে মোটাতাজাকরণের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।

এই প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় হালের শীর্ণকায় মুরগি এখন থলথলে মাংসের আধার। সম্প্রতি একদল গবেষক মুরগির এই বিবর্তন নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেই রিপোর্টে ১৯৫৭ সাল সময়কার মুরগি এবং বর্তমান ২০১৪ সালের মুরগির দৈহিক পরিবর্তনের বিভিন্ন অংশের প্রতি আলোকপাত করা হয়। রিপোর্ট মোতাবেক, ১৯৫৭ সালের দিকে মুরগি এক প্রকার মানবসৃষ্ট বিবর্তনের শিকার হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ২০০৫ সালে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৩ সালে তৃতীয়বারের মতো মুরগি বিবর্তনের শিকার হয়।

ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টার সহকারী অধ্যাপক ড. মার্টিন জুডিহফ বলেন, ‘আমরা পরীক্ষার জন্য তিন জাতের মুরগি বেছে নিয়েছিলাম। তাদের আমরা একই খাবার দিয়েছিলাম। তবে আমরা তাদের শারীরিক উন্নতির জন্য কোনো হরমোন প্রয়োগ করিনি। ১৯৭৮ সালের যে মুরগির জাত, তাদের শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। তবে পরবর্তী সময়ের মুরগিদের ক্ষেত্রে শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।’

তবে ইদানিং মোটা মুরগির ক্ষেত্রে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে হরমোন প্রয়োগ করা মুরগি স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ কিনা। এবিষয়ে অবশ্য মার্টিন বলেন, ‘মোটা মুরগি খেলে কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ মুরগির শরীরে যে হরমোন প্রয়োগ করা হচ্ছে তা মানব শরীরের ক্ষতিসাধন যাতে না করতে পারে সেদিক বিবেচনা করেই তৈরি করা হয়েছে।’

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/ আল-আমিন/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে