শনিবার, ০২ এপ্রিল, ২০১৬, ০৪:৪২:৫৯

পানির নিচে এখনো দাঁড়িয়ে রয়েছে যে শহরগুলো!

পানির নিচে এখনো দাঁড়িয়ে রয়েছে যে শহরগুলো!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : এ যেন ঠিক মাছেদের শহর। জলের নিচে আস্ত কতগুলো সাজানো-গোছানো শহর। ছোট ছোট ঘর, মন্দির, পিরামিড সবই দেখতে পাওয়া যাবে। তবে সেগুলো ধ্বংসাবশেষ। আসলে এক সময়ে এখানেই ছুটোছুটি করত বাচ্চারা। এখন সেখানে রাজত্ব করে বেড়ায় মাছেরা। প্রাচীন সভ্যতায় তিল তিল করে গড়ে উঠেছিল শহরগুলি। প্রকৃতির খেলায় এখন সে সবই পানির তলায় তলিয়ে গিয়েছে।

পোর্ট রয়্যাল : জলদস্যুদের শহর হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিল জামাইকার এই শহরটি। ১৬৯২ সালে এক ভয়ানক ভূমিকম্পে পুরো শহরটিই ক্যারিবিয়ানের তলায় তলিয়ে যায়।

দ্বারকা : ২০০০ সালে গুজরাটের এই শহরটি আরব সাগরের নিচে আবিষ্কার করা হয়। শহরটি পানির নিচে কেন ডুবে গিয়েছিল তার কোনো স্পষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি।

ইওনাগানি মনুমেন্ট : ১৯৮৬ সালে জাপানে সমুদ্রের তলদেশে বিশালাকার এলাকা জুড়ে পিরামিড আকৃতির পাহাড় উদ্ধার হয়। মাসাকি কিমুরা নামে এক প্রফেসর জানান, ২০০০ থেকে ৩০০০ সাল আগে এখানে একটি শহর ছিল।

লায়ন সিটি : মাত্র ৬০ বছর হল চীনের এই শহরটি ডুবে গিয়েছে। ১৯৫৯ সালে চীনা সরকার হাইড্রোইলেক্ট্রিক বাঁধ বানান জিনান নদীর উপরে। বিজ্ঞানীদের মতে, এর ফলেই বন্যার জলে তলিয়ে যায় শহরটি। এখনো পানির তলায় আস্ত শহরটির অস্তিত্ব রয়েছে।

হেরাক্লেওন বা থনিস : সবচেয়ে পুরনো শহর। প্রাচীন মিশরের প্রধান বন্দর ছিল এই শহরটি। এক সময়ে নীলনদের তীরে গড়ে উঠেছিল। সমুদ্রের পানির বাড়তে বাড়তে এক সময়ে পানির তলায় চলে যায় শহরটি।
২০০০ সালে পানির তলায় শহরের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়।

টিটিকাকা হ্রদের তলদেশে মন্দির : দক্ষিণ আমেরিকার পেরুতে অবস্থিত এই হ্রদের তলায় ২০০ মিটার উচ্চতায় একটি মন্দির উদ্ধার হয়েছে। প্রত্নতত্ত্ববিদেরা একটি ডুবে যাওয়া রাস্তার সন্ধান করতে গিয়েই মন্দিরের কাছে পৌঁছে যান।

ভিলা এপিকুয়েন : ১৯৭০ সালেও ৫০০০ বসতি ছিল আর্জেন্টিনার এই শহরে। আচমকাই শহর লাগোয়া হ্রদের পানি অনেকটা বাড়তে শুরু করে। ধীরে ধীরে পানির তলায় হারিয়ে যায় শহরটি।

পাভলোপেট্রি : ৫০০০ বছরেরও বেশি আগে পানির তলায় ডুবে গিয়েছিল গ্রীসের এই শহরটি। যে কারণে শহরটির সঠিক নাম কেউ জানে না। পানির নিচে শহরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার হয় ১৯৬৭ সালে।
২ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে