বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৫:২২:৪০

কাবাবেও প্রাণঘাতী ক্যান্সার!

কাবাবেও প্রাণঘাতী ক্যান্সার!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : গ্যাস বা কাঠকয়লার আঁচের উপর ঝুলানো সারি সারি শিকে গাঁথা মশলাদার মাংসখণ্ড। আগুনের লাল আভায় ধীরে ধীরে ঝলসে উঠছে রেশমি, কাকোরি, টিক্কা, বোটি বা বড়া কাবাব। তাবে আবার মনকাড়া সুঘ্রাণের হাতছানি বাঙালী ভোজনরসিকের এক পরিচিত শিকার। এই খাবার কি ছাড়া যাবে কখন?

এদিকে চিকিৎসকরা কিন্তু সতর্ক করছেন, অবিলম্বে এ সকল খাবার থেকে শত হাত দূরে থাকার অভ্যাস করুন। তাদের মতে, আগুনে ঝলসানো নুন-মশলা মাখানো মাংস বা মাছ থেকে নিসৃত রাসায়নিক ডেকে আনতে পারে প্রাণঘাতী ক্যান্সার।

সম্প্রতি কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরের একটি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক এস এম চন্দ্রমোহন জানান, সরাসরি আগুনের উপর মাছ-মাংস পোড়ানো হলে তার উপর জমে ওঠে ক্যান্সার উৎপাদক রাসায়নিক। ডাক্তার সাহেবের মতে, এই ধরণের খাবার খাওয়া ধূমপান বা মদ্যপানের চেয়েও ক্ষতিকর। কিছু দিন আগে, ভ্যাঙ্কুভারের সরকারি হাসপাতালে ১০১ জন রোগীর উপর একটি গবেষণা চালানো হয়।

গবেষণায় জানা গেছে, ওই রোগীদের খাদ্যাভ্যাস সহ জীবন যাপনের খুঁটিনাটি। তার সঙ্গে তুলনামূলক সমীক্ষায় জানতে চাওয়া হয়েছে সমপরিমাণ সুস্থ্য মানুষের জীবন যাপন পদ্ধতি। দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ঝলসানো মাংস খান, তাদের ক্যান্সার হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা ৯ গুণ। এছাড়া, যাদের ধূমপানের অভ্যাস রয়েছে, তাদের ৮ গুণ সম্ভাবনা ক্যান্সার হওয়ার। অন্যদিকে, মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা ৪ গুণ।

প্রসঙ্গত, ঝলসানো মাংসের সঙ্গে ক্যান্সারের যোগাযোগ নিয়ে এটাই প্রথম সতর্কবাণী নয়। খাদ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, চর্বিযুক্ত নুন মাখানো মাংস সরাসরি কাঠ বা কয়লার আগুনে পোড়ানো হলে তাতে আলকাতরা জমে, যা শরীরে ক্যানসার উৎপাদনকারী।

অর্থাৎ ধূমপান করলে যে পরিমাণ আলকাতরা শরীরে মেশে, এতে তার চেয়ে বেশ কয়েক গুণ বেশি আলকাতরা রক্তে মেশে। তবে বিশেষজ্ঞরা স্বীকার করেছেন, এছাড়া আরও অনেক কারণেই ক্যান্সার হতে পারে, তবে পোড়া বা ঝলসানো মাংস খাওয়ার ঝুঁকি তাতে কখনওই এড়িয়ে যাওয়া যায় না।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে