এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ধনী হতে চায় না এমন লোককে টর্চলাইট দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রত্যেক ব্যক্তিই ধনী হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকেন। কারো ভাগ্যে জুটে আবার কারো ভাগ্যে জোটে না। কিন্তু ভাগ্যের লিলা-খেলা সৃষ্টিকর্তার হাতেই।
তবে সঠিক পথে পরিশ্রমের বিকল্প নেই। যারা ধনী হন তাদের বিভিন্ন অভ্যাস ও কৌশল থাকে। কিন্তু অনেকেরই সেগুলো জানা না থাকায় যোগ্যতা থাকা সত্বেও আয় বাড়াতে পারেন না।
ফলে ধনী হতে পারে না। সবাই যোগ্যতা অনুযায়ী আয় করতে পারে না। কারণ সবাই জানে না- ধনী হতে গেলে কী কী অভ্যাস তৈরি করতে হয়। জেনে নিন সেসব নিয়ম-
১। আর্থিক বিষয়ে কখনো আবেগপ্রবণ হতে নেই। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আবেগপ্রসূত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দ্রুত কিছু পাওয়ার চেয়ে ধীরে চাহিদা পূরণ হলে ভুল কম হয়।
২। ধনীরা চাহিদা ও প্রয়োজনের পার্থক্য বোঝেন। চাওয়া ও প্রয়োজনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যা যা চাহিদা সবের প্রয়োজন রয়েছে কি? ধনীরা আগে প্রয়োজন মিটিয়ে পরে চাহিদা মেটান।
৩। ধনী হতে গেলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা জরুরি। দেখা যায়, ধনীরা তাৎক্ষণিক কিছু পাওয়ার চেয়ে ধীরে ধীরে বড় লক্ষ্যের দিকে এগোন।
৪। ধনীরা একাধিক উৎস থেকে আয় করেন। একটির উপর নির্ভর করেন না।
৫। ধনী মানুষেরা বাজেট মেনে চলেন। প্রচুর অর্থ থাকলেও তারা বেহিসাবী নন। গবেষণায় বলা হয়, যত ধনীরা বাজেট বানান আগে। পরে খরচ করেন।
৬। নানা ধরনের জরুরি প্রয়োজন তৈরি হয় জীবনে। তার জন্য আগে থাকতেই আলাদা ফান্ড তৈরি করেন ধনীরা। ফলে ধারদেনা করতে হয় না।
৭। কোথায় বিনিয়োগ করবেন এটা আগে ভাবা উচিত। ধনী ব্যক্তিরা শুধু সেখানেই বিনিয়োগ করেন যেটা সম্পর্কে তারা বিস্তারিত জানেন এবং বোঝেন।
৮। ধনীরা হিসাব করে খরচ করেন না এটা ভাবলে মারাত্মক ভুল হবে। তারা বরং প্রতিদিনের হিসাব পর্যন্ত রাখেন।
৯। প্রয়োজনে ধনীরাও ঋণ নেন। তবে সখ মেটানোর জন্য নয়। আর ঋণ পরিশোধের ব্যাপারে সচেতন থাকেন। ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েন না।
১০। যারা ধনী হন তারা ধনা বাড়ার সঙ্গে নিজের শিক্ষাও বাড়াতে থাকেন। স্বশিক্ষিত হয়ে ওঠেন। অনেক মানুষ তাই তেমন শিক্ষিত না হয়েও ধনী হন।
৪ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম