বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৫:৩৫:৩৭

বিশ্বে সবচেয়ে সুখী ১০টি দেশ

বিশ্বে সবচেয়ে সুখী ১০টি দেশ

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : জীবনযাত্রার মান ও উচ্চ মাথাপিছু আয় সহ ১১টি বিষয়কে মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ করে সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে সুখি ১০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে অর্গানাইজেশন অব ইকোনমিক কো-অপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট বা ওইসিডি।  

 ‍সুখি ১০টি দেশের তালিকায় প্রথমেই আছে দ্বীপ মহাদেশ অস্ট্রেলিয়া। তারপর নরওয়ে। এছাড়াও আরো আছে স্ক্যন্ডিনেভিয়ান কান্ট্রি সুইডেন, ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড, উত্তর আমেরিকার কানাডা ও যক্তরাষ্ট্র। তালিকায় আরো আছে সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড।

এই তালিকায় প্রথম অবস্থায় থাকা অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের সবচেয়ে সুখী ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড জাতি হিসেবে পরিচিত। এখানে রয়েছে গ্রেট ব্যারিয়ার রীফ যা বিশ্বের সাতটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি হিসেবে পরিচিত। সুখী দেশ হওয়ার বিভিন্ন মানদণ্ডে তাদের দেশের ভোটাররা বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন। তারমধ্যে রয়েছে পরিবেশগত গুণাগুণ, স্বাস্থ্যগত উন্নয়ন, বাসস্থানের সুযোগ-সুবিধা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, কর্মক্ষেত্র, উপার্জন থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ দিক। এই সকল ক্ষেত্রে কিংবা মানদণ্ডে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। তাই তারা পেয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের খেতাব। অস্ট্রেলিয়ায় মাথাপিছু একজন ব্যক্তির বাৎসরিক আয়ের পরিমাণ ৩১১৯৭ মার্কিন ডলার। সামাজিক নিরাপত্তা, পরিবেশের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার রেটিং সবচেয়ে বেশি।

তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দেশটির নাম নরওয়ে। এটি ওইসিডি তালিকায় বিগত বছরে শীর্ষস্থানে ছিল। জীবনযাত্রার মানদণ্ডে অনেকগুলো দিক বিবেচনা করে এই দেশটির অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থ যে সকল সুখের মানদণ্ড হতে পারেনা তার আদর্শ উদাহরণ এই নরওয়ে। কেননা এখানের মাথাপিছু বাৎসরিক আয় অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে অনেক বেশি প্রায় ৩২৯৯৩ মার্কিন ডলার। লাইফ স্যাটিস্ফিকশনের ক্ষেত্রে নরওয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে। কিন্তু পিছিয়ে আছে ব্যক্তিগত আয়ের দিক থেকে এর ফলে এখানে ধনী-গরিবের একটি বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। ওইসিডি ২০০০ সাল থেকে প্রায় ১১টি মানদণ্ডের ভিত্তিতে সুখী দেশের তালিকা তৈরি করে থাকে। মানদণ্ডগুলো হলো বাসস্থান, ব্যক্তিগত আয়, চাকরি, শিক্ষা, পরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসহ আরো অনেক কিছু।

এই জরিপটির মাধ্যমে বোঝা যায় মানুষ কিসের ভিত্তিতে নিজেদেরকে সুখী ভেবে থাকে। কিংবা কখন নিজেকে সুখী মনে করে। এথেকে দেখা যায়, কিছু কিছু মানুষ নিরাপত্তার ভিত্তিতে নিজেকে সুখী ভাবছে, আবার কিছু মানুষ তার ব্যক্তিগত আয়ের উপরে সুখী ভাবছে আবার কেও কেও সুখী ভাবছে পরিবেশের সৌন্দর্যের উপর ভিত্তি করে। এই জরিপটির ক্ষেত্রে প্রায় ৬০০০০ মানুষ তাদের মতামত প্রকাশ করে যে, তারা কেন সুখী কিংবা কেন সুখী নয়। বিভিন্ন দেশের কোন মানদণ্ডে তারা তৃপ্ত কিংবা কোন মানদণ্ডে তারা তৃপ্ত নয়। এই সকল ক্ষেত্রের মাঝে সুখী অবং অসুখীতার ক্ষেত্রে বেশি উঠে এসেছে ব্যক্তিগত আয় আর সামাজিক নিরাপত্তার দিকটি। যেমন জাপানের মানুষ তাদের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি এনেছে সবার আগে অপরদিকে ল্যাটিন আমেরিকার মানুষ বেশি তুলে ধরেছে শিক্ষার বিষয়টি।

যুক্তরাজ্য এই দশের তালিকায় গত বছর অবস্থান করছিল কিন্তু বর্তমানে তাদের হটিয়ে এই অবস্থানে প্রবেশ করেছে ফিনল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের অবস্থান নেমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে দশম অবস্থানে। একেবারে নিচের দিকের অবস্থানের দেশগুলো হলো গ্রিস এবং মেক্সিকো। তালিকায় নিচের দিকে দেশগুলোতে বর্তমানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে