এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বাইরের ঘূর্ণিয়মান দুনিয়া থেকে সরে আসতে চায় যখন বিষণœতা, হতাশা মানুষকে গ্রাস করে তখন। নিজেকে সবসময় একা রাখতে চায়। এমনকি পরিবার ও বন্ধুদের থেকেও নিজেকে আলাদা করে নেওয়ার চেষ্টা করে।
বিশেষ করে, বিষণœতায় ভোগা একজন মানুষ অনেক বেশি কষ্ট পায়, যখন তার আশেপাশের মানুষেরা এটা বুঝতে চায় না বিষণœতা আসলে কত বেশি প্রভাব ফেলছে তার জীবনে। কখনোই বিষণ্ণতাকে এলেবেলে ব্যাপার বলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। বুঝতে হবে ব্যাপারটির গুরুত্ব সেই মানুষটির জীবনে কত বড়।
তিনি যখন জানতে পারবে যে আপনি তার সমস্যাটি বুঝতে পারছেন, তখনই তার কষ্টটা ভাগাভাগি করে নিতে পারবেন আপনি। দেখে নিই বিষণ্ণ মানুষটির জন্য সেই সেভেন ম্যাজিক কী? যা ওই মানুষটির জন্য ভালো :
নীরবতা : সবসময়ে যে কথার মাধ্যমে তাকে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে হবে এমনটা নয়। অনেক সময়ে একজন মানুষের নীরব উপস্থিতিটাই অনেক প্রশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় বিষণ্ণ একজন মানুষের কাছে।
তুমি একা নও : ভীষণ অন্ধকার সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে একাকী হেঁটে যাবার মতো অনুভূতির জন্ম দিতে পারে বিষণ্ণতা। তিনি ভাবতে থাকেন কেউ তার সঙ্গ দেবে না, একাকী বিষণ্ণতার মাঝেই কেটে যাবে তার জীবন। এই যাত্রায় তার পাশে কেউ আছে, এমন অনুভূতি তার জন্য খুবই জরুরী। তার এই একাকীত্ব দূর করতে পারাটা একটা বড় পাওয়া।
আমি তোমার পাশেই আছি : কখনো কখনো আপনার কাছে যা খুব ক্ষুদ্র একটি ব্যাপার, বিষণ্ণ মানুষটির জন্য সেটাই অনেক বড় প্রাপ্তি। আপনার এই একটি কথায় অনেকটা ভরসা পাবেন তিনি, বুঝতে পারবেন তাকে সাহায্য করার মানুষ আছে কাছাকাছিই। বিষণ্ণতার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ছোট ছোট কাজেই তার পাশে থেকে তাকে এভাবে ভরসা জোগাতে পারেন আপনি।
আমি তোমার সঙ্গে যাচ্ছি : একা একা কোথাও যাবার ব্যাপারটা আমাদের কাছে সহজ মনে হলেও, বিষণ্ণতায় আক্রান্ত মানুষটির জন্য ততটা সহজ নয়। হয়তো তিনি যাচ্ছে থেরাপিস্টের কাছে, অথবা ওষুধ কিনতে বা শুধুই বাইরে হাঁটতে যাচ্ছেন, এমন সময়টাতেও আপনার সঙ্গ তাকে দেবে ভরসা। বিষণ্ণতা থেকে মুক্তি পাওয়া এক দিনে সম্ভব নয়। কিন্তু আপনি তাকে সঙ্গ দিলে তিনি বুঝতে পারবেন যে যত সময়ই লাগুক না কেন আপনাকে পাশে পাচ্ছেন তিনি।
এখানে তোমার কোনো দোষ নেই : অনেক ক্ষেত্রেই পরিবারের মানুষেরা বুঝতে পারেন না যে বিষণ্ণতা এমন একটি জটিলতা যার থেকে ইচ্ছে করলেই বের হয়ে আসা যায় না। তাদের ভুল ধারণার কারণে বিষণ্ণতায় ভোগা মানুষটি নিজেকেই দোষী মনে করতে থাকেন যা তার মানসিক অবস্থা আরও খারাপ করে তোলে। এমন সময়ে তাকে যদি বোঝানো যায় যে তার আসলে কোনো দোষ নেই, তবে অনেকটা হালকা অনুভব করতে পারেন তিনি। কমে যায় তার কষ্টটা।
কী নিয়ে ভাবছ তুমি? : বিষণ্ণ মানুষ অনেক সময়েই আত্মহত্যা বা নিজের শারীরিক ক্ষতি করার কথা চিন্তা করে থাকেন। এসব চিন্তার কথা যে তারা বলেন না তা নয়, বরং অনেক সময় কেউ জিজ্ঞেস করেন না বলেই তা বলতে পারেন না। তার এই কথাগুলো আপনি শুনতে পারেন। তাকে বোঝাতে পারেন যে বিষণ্ণতার কারণে এসব চিন্তা মনে আসাটা স্বাভাবিক, কিন্তু তাই বলে নিজের ক্ষতি করাটা মোটেই উচিৎ হবে না।
তোমার জন্য কী করতে পারি?
তার জন্য কিছু করার প্রস্তাব করতে পারেন আপনি। তার জন্য যদি খুব বড় কিছু করার নাও থাকে, তার পরেও তিনি বুঝবেন তার স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি আপনি মনযোগী। তার জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ ফিরিয়ে আনতে এটা খুবই জরুরি।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/