এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : দিনদিন খুব মোটা হয়ে যাচ্ছেন? কিছুতেই নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছেন না? খুবই অস্থির? টাকাও নেই যে সার্জারি করাবেন? ব্যাপরটার কি ঠিক এমন?
এতগুলো প্রশ্নে নাজেহাল বা বিরক্ত না হয়ে, সমস্যার সমাধানটা জেনে নিন। হাল ছেড়ে বিপদের দিকে এগিয়ে যাওয়ার থেকে একবার চোখ রাখুন শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানির দিকে।
আজ থেকে ১৮ মাস আগে সদ্য যৌবনে পা রাখা অনন্তের সঙ্গে আজকের অনন্তকে দেখলে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারবেন না। এই ১৮টা মাসে ১০৮ কেজি ওজন কমিয়েছেন আম্বানিপুত্র।
নিশ্চয়ই ভাবছেন, বিলিয়নেয়ারের ছেলে। বিপুল টাকা ঢেলে কোনও বিশেষ চিকিত্সায় এই অসাধ্য সাধন করেছেন অনন্ত। কিন্তু না, মুকেশ ও নীতা আম্বানির ছোট ছেলে বিশাল চেহারা থেকে এমন ছিপছিপে ঝরঝরে চেহারা গড়েছেন রীতিমতো ঘাম ঝরিয়ে।
আজ্ঞে হ্যাঁ, ডায়েটে কড়া অনুশাসন ও দিনে ৫-৬ ঘণ্টা ব্যায়াম। এই টোটকাই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে। রোজ ২১ কিলোমিটার হাঁটার পাশাপাশি অনন্ত নিয়ম করে করেছে যোগব্যায়াম, ওয়েট ট্রেইনিং, ফাংকশনাল ট্রেইনিং ও হাই ইন্টেনসিটি কার্ডিয়ো এক্সারসাইজ। আর ডায়েটে ছিল কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত ও প্রয়োজনীয় ফ্যাট-প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। তবে শর্করা নৈব নৈব চ।
ছেলের এই পরিবর্তনে সবচেয়ে খুশি তার মা। গর্বের সঙ্গে নীতা বলছেন, এমন একটা চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষেত্রে তাঁর ছেলে যে একাগ্রতা ও ইচ্ছাশক্তির পরিচয় দিয়েছে, তা সত্যিই প্রত্যেকের কাছে অনুপ্রেরণা হওয়া উচিত।
ছোটবেলায় ক্রনিক অ্যাস্থমার রোগী ছিল অনন্ত। কড়া ওষুধ তার ওজন অত্যধিক বাড়িয়ে দেয়। এত ওজন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কমানোটা যথেষ্ট কষ্টকর বলে জানিয়েছিলেন ডাক্তাররাও। তবে, হাল ছাড়ার পাত্র নন অনন্ত। নিজের ২১তম জন্মদিনে এক্কেবারে ফিট হওয়ার অঙ্গীকার করেছিল আম্বানিপুত্র।
কাজেই আপনারাও হাল ছাড়বেন না। লেগে পড়ুন আজ থেকেই। কঠোর মনঃসংযোগ ও একাগ্রতায় ভর করে হয়ে উঠুন স্লিম অ্যান্ড ট্রিম।
১১ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন