খাওয়ার পর যে ৭টি ভুল মারাত্মক ক্ষতি

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : খাওয়া-দাওয়া নিয়ে অনেকেই বেশ ব্যতিব্যস্ত থাকেন। আবার অনেকে যা পান তাই খান। তবে খাওয়ার পর যে ভুলগুলো হরহামেশাই আমরা করে থাকি, সেগুলো পাল্টাতে না পারলে কিন্তু বিপদ। খাওয়ার পর কোন ভুলগুলো আমরা করছি তা একপলক জেনে নিই।

১. খাওয়ার পরই সুখটান : খেয়ে উঠে ধূমপান অনেকেরই অভ্যাস। খাওয়ার পর একটি সিগারেট আপনার শরীরে ১০টি সিগারেটের সমান ক্ষতি করে। কারণ খাদ্যগ্রহণের পর শরীরজুড়ে পাচনক্রিয়া শুরু হয়। সে সময়ে সিগারেটর সঙ্গে ক্ষতিকারক নিকোটিন সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে নিমিষে।

২. ভরা পেটে ফল : পুরনো প্রবাদ- খালি পেটে জল, ভরা পেটে ফল- কথাটি ঠিক। তবে মানেটা একটু বুঝতে হবে। খাওয়ার পরই এক কাড়ি ফল নিয়ে বসলে মুশকিল। ফল খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়।

কিন্তু খাওয়ার পর খেলে সেই ফলই দীর্ঘ ক্ষণ পেটে থেকে যায়। তা নষ্ট হয়ে গ্যাস ও ক্ষতিকারক টক্সিন ছাড়ে। তাই ফল খান, তবে খাওয়ার অন্তত ঘণ্টা দু'য়েক পর।

৩. খেয়ে উঠে চা : খেয়ে উঠে চায়ের কাপে আমেজের চুমুক। এ অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন এখুনি। চায়ে ক্যাফেন থাকে, যা শরীরে হজম প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে। অ্যানিমিয়া রোগীদের পক্ষে এটা মারাত্মক। খাওয়ার পর অন্তত এক ঘণ্টা না হলে চায়ে চুমুক দেয়ার কথা ভাববেন না।

৪) স্নান করা/সাঁতার কাটা : খাওয়ার পর স্নান করা বা সাঁতার কাটা ভীষণ খারাপ অভ্যাস। খাওয়ার পর শরীরে সমস্ত রক্ত পাকস্থলিমুখি হয়। কিন্তু স্নান করলে বা সাঁতার কাটলে শরীরে তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন হয়।

ফলে রক্ত আবার শরীরের সব অংশে পৌঁছাতে চেষ্টা করে। ফলে হজমশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘদিন এই অভ্যাস থাকলে হজমশক্তি নষ্ট হয়েও যেতে পারে।

৫. কোমর দোলাবেন না : খেয়ে উঠেই অনেকে কোমরের ব্যায়াম শুরু করেন। ভাবেন, এতে মেদ জমতে পারে না। খাওয়ার পর কোমরের ব্যায়ামে ওজন বাড়বে বৈ কমবে না। উপরন্তু এতে আপনার বৃহদ্রান্ত্র বেড়ে যেতে পারে, যাতে ভবিষ্যতে হজমশক্তি নিজেই হজম হয়ে যাবে।

৬. কসরত : হাঁটুন তবে দৌড়াবেন না। খাওয়ার পর হনহন করে হাঁটলে খাদ্যগুণ শরীরে ঢোকার আগেই বেরিয়ে যাবে। ফলে এখানে শম্বুকগতি আপনার উপকারে লাগবে।

৭. ঘুম : খাওয়ার পরই একটা লম্বা হাই। তারপরই বিছানা কাছে ডাকে। আর আপনিও গিয়ে আশ্রয় নেন। এমন অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন। ঘুমনো তো দূরে থাক, খেয়ে উঠে শোয়াও খুব খারাপ। এমন অভ্যাস থাকলে ভবিষ্যতে পাকস্থলির সমস্যায় ভুগতে হতে পারেন।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/