বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৭:০৯:৪৪

জানুন পৃথিবীর ৬টি অচেনা দেশে কি হয়

জানুন পৃথিবীর ৬টি অচেনা দেশে কি হয়

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : অনলাইনে ঘাঁটাঘাঁটি করেন রোমাঞ্চপ্রিয় পর্যটকরা বিশ্বের সবচেয়ে দারুণ এলাকাগুলো একনজর দেখার জন্য। এমন দেশ বা অঞ্চলের সন্ধান পেলেই একটু ঢুঁ মারবেন। গোটা পৃথিবী চষে বেরিয়েছেন এমন অনেক মানুষই হয়তো এই ছোট আকারের ৬টি দেশের কথা জানেন না। এমনই ৬টি ধোঁয়াশাচ্ছন্ন দেশ এখানে দেখুন এবং জানুন :

সুরিনেম : ডাচ বা দক্ষিণ আমেরিকান না হলে এ দেশটির নাম না শোনার সম্ভাবনা বেশি। দেশটি দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরাংশে অবস্থিত। ১৯৭৫ সালে এখানে স্বাধীনতা আসে। এ দেশের মানুষরা ডাচ ভাষায় কথা বলেন। এক সময় নেদারল্যান্ডসের কলোনি ছিলো দেশটি। বহু বছর ধরে আড়ালে থেকে একে শাসন করেন এক মিলিটারি কর্নেল ডেজি বোটারসি। পরে ২০১০ সালে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট হন।

লেসোথো : এই দেশের কেউ ভিনদেশে গেলে ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা চোখ বড় বড় করে চিন্তা করেন, আদৌ এমন দেশ রয়েছে কিনা। মাত্র ১০০ মাইল চওড়া দেশটির প্রায় পুরোটাই পাহারা দিয়ে রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর ৪০ শতাংশ মানুষ এমন দরিদ্র যাদের জাতিসংঘ 'আল্ট্রা-পুওর' বলে ঘোষণা করেছে। এর পাহাড়ে সব সময় অদ্ভুত সুন্দর শুভ্র বরফ দেখা যায়।

মৌরিতানিয়া : দেশটি সাহারা মরুভূমিতে অবস্থিত। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বিখ্যাত এই দেশ। এই দেশে এখনো দাসপ্রথা প্রচলিত রয়েছে। ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো দাসপ্রথা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তা ছাড়া দাস রাখা পৃথিবীর সর্বশেষ দেশ হিসেবে ১৯৮১ সালে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইনস : ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দ্বীপমালা এটি। সেন্ট ভিনসেন্ট দিয়ে দেশের মূল ভূখণ্ড এবং দ্য গ্রেনাডাইনস দিয়ে দক্ষিণের সেরা দুই-তৃতীয়াংশ দ্বীপের সারি বোঝানো হয়। অদ্ভুত সুন্দর এই দেশের অনেক চিত্র দেখেছেন 'পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান' সিনেমায়।

বেনিন : বিবিসি এর মতে, আফ্রিকার সবচেয়ে স্থিতিশীল গণতন্ত্রের দেশ বেনিন। পশ্চিম আফ্রিকার এক সময়ের কৃতদাসের বন্দর ছিলো। বর্তমানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও বেনিন পৃথিবীর অন্যতম দরিদ্র দেশের একটি। একমাত্র রপ্তানি পণ্য তুলা। দেশটির নাম না শুনলেও এখানকার ধর্মের নামটি নিশ্চয় শুনেছেন- ভুডু।

নাউরু : এই প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপে থাকেন ৯ হাজার ৪০০ জনেরও কম সংখ্যক মানুষ। ভ্যাটিকান সিটির পর এখানেই কম সংখ্যক মানুষ রয়েছে। এখানে কোনো যুদ্ধ নেই। ১৮৭৮ সালে এক বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে এ যুগেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলে। ওই যুদ্ধে ৫০০ জন নিহত হয় যা দেশটির জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের সমান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তা জার্মানি দখল করলেও অস্ট্রেলিয়া তাদের হটিয়ে দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান দখলে নিলে যুদ্ধের শেষে তা আবার স্বাধীনতা লাভ করে। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে