এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ২০০৭ সাল। ইরাকে বাসরা শহরে একটি বিল্ডিংয়ে গার্ড দিচ্ছিলেন ৩০ বছর বয়সী হানা কেম্পবেল। হঠাৎ এক বোমা বিস্ফোরণ। ওই বিস্ফোরণের পর তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। দু টুকরো হয়ে যায় বাঁহাত এবং বাঁ পা সম্পূর্ণরূপে বাদ যায়। নষ্ট হয় যকৃত, গর্ভাশয়। অবশেষে হার্ট অ্যাটাক। জীবনের শেষ পর্যায় দাঁড়িয়ে প্রহর গুনছে মৃত্যুর কাঁটা। কিন্তু কেম্পবেল হাঁটা দিল উল্টোদিকে। প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও ধৈর্য্যের হাত ধরে ফিরে আসেন নরকযন্ত্রণা থেকে। অন্ধকার জীবনকে জয় করে তিনি আজ সবচেয়ে 'দামী নারী'।
হানা কেম্পবেল জানান, 'ডাক্তারের আন্তরিক সেবায় আমি নতুনভাবে জীবন ফিরে পাই'। তিনি শরীরে প্রায় সবকিছু পাল্টে ফেলেন। বিপুল ব্যয় করে তিনি হন সত্যিকারের 'বায়োনিক নারী'।
শরীরে গভীর ক্ষতস্থান পূরণ করতে ও নিজেকে আরও সুন্দর করে তুলতে তিনি খরচা করেন ৫২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। সবচেয়ে আশ্চর্য্য বিষয়, তিনি একটি প্রোসথেটিক পা লাগান। ত্বকের ক্ষতস্থানে বোটোক্স করেন। নানানরকম শরীরি নকশায় সুন্দর করে তোলেন নিজের জীবনকে। তিনি শুধু শরীরে ক্ষতস্থানেই চিকিত্সা করেননি, স্তনকে আরও বৃদ্ধি করান। ক্ষতিগ্রস্থ গর্ভাশয়ে সারিয়ে আজ তিনি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। সূত্র-জিনিউজ, ডেইলিমেল।