সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৬, ০৪:২২:১১

চমকপ্রদ তথ্য, কাকের বুদ্ধি মানুষের চেয়ে বেশি, জানাচ্ছে গবেষণা!

চমকপ্রদ তথ্য, কাকের বুদ্ধি মানুষের চেয়ে বেশি, জানাচ্ছে গবেষণা!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বিস্ময়কর ঘটনা, কাকের বুদ্ধি মানুষের চেয়ে বেশি, জানাচ্ছে গবেষণা! কিন্তু কীভাবে সম্ভব? পরম করুণাময় আল্লাহ তা’য়ালা মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন।  মানুষের বুদ্ধিতে দুনিয়া আজ মানুষের হাতের মুঠোয়।  কিন্তু কাকের বুদ্ধি মানুষের চেয়ে বেশি বিষয়টি গবেষণায় কীভাবে এল তা নিয়ে যত জল্পনা।  তবে দেখে নেয়া যাক গবেষণা কি বলে-

একটি জলভরা পাত্রের মাঝখানে একটি কর্কে মাংসের টুকরো গেঁথে ভাসিয়ে দেয়া হয়।  তার কাছে ছেড়ে দেয়া হয়ে একটি ক্ষুধার্ত কাক।  দেখা যায়, কাকটি জলের পাত্রে একের পর এক পাথরের টুকরো ফেলে পৌঁছে যাচ্ছে মাংসের টুকরোটির কাছে।

ঈশপের গল্পটি সবার জানা।  একটি পাত্রে জল ছিল একেবারে তলানিতে। কিন্তু পিপাসার্ত কাকের ঠোঁট অত নিচে পৌঁছবে না।  তাই সে বুদ্ধি করে ঠোঁটে করে পাথর বয়ে এনে ফেলা শুরু করল পাত্রের ভেতরে।  

জলস্তর ক্রমশ উঁচুতে উঠে এলে জল পান করে কাক।  কাকের বুদ্ধিমত্তা প্রমাণ করা ঈশপের গল্পের উদ্দেশ্য ছিল না।  কিন্তু এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠতে পারে কাক কি বাস্তবেও এতটাই বুদ্ধিমান?

সম্প্রতি একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, বাস্তব কাকের বুদ্ধিও গল্পের কাকের চেয়ে কম কিছু নয়।  নিউ ক্যালেডোনিয়ান কাকের ওপর এ পরীক্ষাটি পরিচালনা করা হয়েছিল।  

সেখানে একটি জলভরা পাত্রের মাঝখানে একটি কর্কে মাংসের টুকরো গেঁথে ভাসিয়ে দেয়া হয়।  তার কাছে ছেড়ে দেয়া হয়ে একটি ক্ষুধার্ত কাক।  দেখা যায়, কাকটি জলের পাত্রে একের পর এক পাথরের টুকরো ফেলে পৌঁছে যাচ্ছে মাংসের টুকরোটির কাছে।

অতঃপর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোশাইটির দ্বারা পরিচালিত আরেকটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, কাকেরা জটিলতর সমস্যার সমাধানেও সক্ষম।  পরস্পর সংযুক্ত দুটি টিউবের একটিতে পাথরের টুকরো ফেললে অন্য টিউবটিতেও জলস্তর উঠে আসে, এটাও কাক ধারণা করতে পারে বলে এ পরীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

ওই একই পরীক্ষায় উঠে এসেছে আরো চমকপ্রদ তথ্যও।  ৪ থেকে ১০ বছর বয়সী ৬৪ জন শিশুকে ওই একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন করে দেখা গেছে যে, ৪ থেকে ৫ বছরের অধিকাংশ শিশু একাধিক প্রচেষ্টার পরও ওই সমস্যার সমাধান করতে পারেনি।

তবে মানব সমাজের পক্ষে সান্ত্বনা এটাই যে, মানব শিশুদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার শর্তগুলো কিছুটা অন্যরকম ছিল।  পরীক্ষা পরিচালনাকারী টিমের প্রধান কোরিনা লোগান জানিয়েছেন, এ বিযয়ে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসতে আরো পরীক্ষার প্রয়োজন।

অতএব এক্ষুণি কাকের অধিকতর ধীশক্তিসম্পন্ন প্রাণী বলে গণ্য করার কোনো কারণ ঘটেনি।
১৮ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে