বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৭:৩৮:৩৭

ধনীরাই পথ দেখালেন ধনী হওয়ার উপায়

ধনীরাই পথ দেখালেন ধনী হওয়ার উপায়

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সফলতার কারণ একেকজন একেকভাবে  সংজ্ঞায়িত করে থাকেন। সফলতা অর্জনের একটি খাত ধনী হয়ে ওঠা।

ধনী হওয়ার উপায় জানতে ধনীদের কাছেই প্রশ্ন রেখেছেন বিশেষজ্ঞ জেফ হেডেন। এই ৪০০ ধনীর সবাই ২০০৯ সালে সবচেয়ে বেশি উপার্জন করেছেন। সফলতার পেছনে বিভিন্ন পথ ও উপায়ের কথা তুলে ধরেছেন তারা।

ধনী হওয়ার পেছনে একেক বিষয় একেক রকম ভূমিকা রাখে। একেক ধনীর কাছে সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে একেকটি বিষয়। বিষয়গুলোর মধ্যে-

সফলতার পেছনে পরিশ্রমের ভূমিকা ৮৭ শতাংশ,
শিক্ষার ভূমিকা ৭৮ শতাংশ,
সচেতন বিনিয়োগের ভূমিকা ৭২ শতাংশ,
ঝুঁকিগ্রহণ ৬৩ শতাংশ,
সংযমী বিনিয়োগ ও খরচ ৫৯ শতাংশ,
সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে বিনিয়োগ ৫৬ শতাংশ,
ভাগ্য ৫৩ শতাংশ,
নিজের ব্যবসা পরিচালনা ৪৬ শতাংশ,
পরামর্শদাতার পরামর্শ ৩৫ শতাংশ এবং
উত্তরাধীকার সূত্রে পাওয়ার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ।

এ বিষয়গুলোর তারা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সংক্ষিপ্তভাবে। এগুলো হলো-

১. পরিশ্রমের অর্থ যাবতীয় সবকিছু। প্রত্যেক ধনী তার সফলতার পেছনে পরিশ্রমকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
২. শিক্ষার ভূমিকাও অস্বীকার করা যায় না। এখানে সাধারণ ও বিশেষ শিক্ষার মাঝে পার্থক্য না করা গেলেও পরিবেশ ও পরিস্থিতি থেকে ক্রমাগত শিক্ষাগ্রহণকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ধনীরা।
৩. ঝুঁকি হলো পুরস্কারের মাতৃগর্ভ। অংশগ্রহণকারী ধনীদের অর্ধেকের বেশি ঝুঁকিকে সফলতার অন্যতম শর্ত বলে মত দিয়েছেন। তবে এই ঝুঁকি অবশ্যই বুদ্ধিমত্তাপ্রসূত হতে হবে। বোকার মতো ঝুঁকি নিলেই চলবে না।
৪. যা উপার্জন করছেন তাকে ধরে রাখতে মিতব্যয়ী হতে হবে। যদিও ঝুঁকি গ্রহণ ও মিতব্যয়ীতার মধ্যে অনেকে বিপরীত ধর্ম দেখতে পারেন কিন্তু দুটোকেই সঙ্গী করে নিতে হবে।
৫. ভাগ্যের সহায়তা বড় বিষয়। সঠিক সময় সঠিক বিষয়ে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাগ্যের সহায়তা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে নিজের ভাগ্যকে সুপ্রসন্ন করে তোলা যায়।
৬. যারা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন তাদের এক-তৃতীয়াংশ উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া অর্থকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সহায়ক বলে মনে করেছেন। অর্থাৎ, তাদের দুই-তৃতীয়াংশ নিজের চেষ্টায় ধনী হয়ে উঠেছেন।

পরিশ্রম, শিক্ষা, ঝুঁকিগ্রহণ, মিতব্যয়ী হওয়ার মাধ্যমে নিজের ভাগ্য নিজেই গড়ে তুলতে পারেন। এতে থাকতে হবে আপনার দৃঢ় মনোবল। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার
 
২৩ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে