মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৬, ১১:৩৫:০২

অর্ধেক নারী, অর্ধেক শিয়াল! চিড়িয়াখানায় উপচে পড়া ভিড়

অর্ধেক নারী, অর্ধেক শিয়াল! চিড়িয়াখানায় উপচে পড়া ভিড়

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মমতাজ বেগম। গত চল্লিশ বছর ধরে তার একমাত্র ঠিকানা পাকিস্তানের করাচি চিড়িয়াখানাই। মমতাজের শরীরের অর্ধেক নারীর আকৃতি হলেও বাকি অর্ধেক শিয়ালের! তবে কোথায় কিভাবে এই মমতাজের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল? এমন প্রশ্নের উত্তর বরাবরই চেপে যাচ্ছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

এদিকে গত চল্লিশ বছর ধরেই মমতাজকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় উপচে পড়ে করাচির এই চিড়িয়াখানায়। মমতাজের জন্য আবার বিশেষ ধরনের খাঁচাও বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে মাথায় ঘোমটা দিয়ে দর্শকদের সঙ্গে মোলাকাত করেন মমতাজ।

মমতজের সবচেয়ে ভালো লাগে ছোটদের সঙ্গে কথা বলতে। ছোটরা হাজারো রকম সওয়াল করে তার এই বিস্ময়কর চেহারা নিয়ে। মমতাজ দর্শনে টিকিট মূল্য মাত্র ১০ টাকা। ভিড় এতটাই যে তা সামাল দিতে নাভিশ্বাস ওঠে চিড়িয়াখানা কর্মীদের।

এত দিন মৎস্যকন্যা থেকে অশ্বমানুষের কথা শোনা গেছে। যদিও, বাস্তবে এদের কারও দর্শন পাওয়া যায়নি। সেখানে শেয়াল-মানুষ! চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে চেপে ধরতেই বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা গিয়েছে চিড়িয়াখানার শেয়াল মানুষটি অভিনয় করা। আসলে, বেদির উপরে শেয়ালের চেহারার মডেল রেখে তার মাথার কাছে মমতাজের মাথা রাখা হয়েছে। বেদির নীচে আছে সিক্রেট চেম্বার। যেখান থেকে শুয়ে মাথাটা বেদির বাইরে বের করে দেন মমতাজ। মাথার সঙ্গে ওড়না জড়িয়ে রাখায়া শিয়ালের দেহাংশের সঙ্গে মানুষের দেহাংশের পার্থক্য সহজে ধরা পড়ে না।  

বিস্ময়ের আরও বাকি। কারণ, মমতাজ বেগম বলে যাকে ডাকা হচ্ছে তার আসল নাম মুরাদ আলি। ৪০ বছর আগে চিড়িয়াখানায় মমতাজের চরিত্রটি তৈরি করা হয়েছিল। মুরাদের আগে তার বাবা এই কাজ করতেন। বাবার অকাল মৃত্যুতে ১৬ বছর আগে এই কাজ ধরেন মুরাদ। রোজ টানা ১২ ঘণ্টা এভাবেই অর্ধেক মানুষ ও অর্ধেকের শেয়ালের ভূমিকায় অভিনয় করেন মুরাদ।
১৯ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে