সুসম্পর্ক ঠিক রাখতে যা বর্জনীয়
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সুসম্পর্ক এমনই একটা জিনিস, কখনো তা হয় মধুর আবার কখনো হয় বিধুর। নানাভাবে সংজ্ঞায়িত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াটা মানুষের নিত্যাকার ব্যাপার। তাই খুব ভালো বন্ধুত্ব বজায় রাখতে হতে হবে সচেষ্ট। আর এই গভীর বন্ধুত্ব নষ্ট করতে সামান্য ভুলই যথেষ্ট। তাই যে বদ অভ্যাসগুলো বাদ দেবেন এখনই :
নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দেয়া নয় : সঙ্গীর সাজ-পোশাকের রুচি হয়তো আপনাকে বিব্রত করে মাঝে মাঝেই। তাই বলে নিজের রুচি তার উপর চাপিয়ে দিতে পারেন না। এখন সে কেন আপনার কথায় নিজেকে সম্পূর্ণ বদলে ফেলবে? এক্ষেত্রে আপনার উচিৎ বন্ধুর অবস্থান দেখে সম্পর্কে জড়ানো। এ ধরনের চাপাচাপিও ভাল সম্পর্ক টিকে থাকার অন্তরায়।
গুপ্তচরবৃত্তি নয় : আপনি নিশ্চয় কোন অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী নন। যখন কোন অসঙ্গতি দেখবেন তখনই তার প্রতিহত করাও আপনার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আপনার উচিৎ হবে বন্ধুর বিরুদ্ধে কোন গুপ্তচরবৃত্তি না করা। বন্ধুর ফোন কিংবা ফেসবুকে অযথা অনুসন্ধান চালিয়ে তার বিরক্তির কারণ হওয়ার কোন যুক্তি নেই। এতে তার কাছে আপনি হয়ে উঠবেন অবিশ্বাসী। ফলে এ অভ্যাস থাকলে তা দ্রুত ত্যাগ করা উচিৎ। সম্পর্ক স্থায়ী করার জন্য দরকার তার কাছে বিশ্বাসী হয়ে ওঠা।
বিতর্কে না যাওয়া : মনের মধ্যে কোন রাগ দীর্ঘদিন লুকিয়ে রাখা মোটেই ঠিক নয়। যদি বন্ধুটির কোন কথায় কষ্ট পান তবে অবশ্যই তার সঙ্গে যে বিষয়ে খোলাখুলি ভাবে বলুন। সমাধানের চেষ্টা করুন। অনেকগুলো ইস্যু একসঙ্গে তুলে ধরে ঝগড়া করবেন না। এতে একটা জগাখিচুড়ী পাকাবার সম্ভবনা থাকে। সম্পর্কের পূর্ণতা পেতে সমঝোতায় আসার বিকল্প নেই।
হিংসা পরিহার করুন : অন্য মেয়ের সঙ্গে অপনার ছেলে বন্ধুর বন্ধুত্বকে হিংসা করা উচিৎ হবে না। হিংসা আপনাদের সম্পর্কটা নষ্ট করে দিতে পরে। আর যদি দেখেন, সে অন্য মেয়ের প্রতি ভীষণ ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। আপনাকে এড়িয়ে চলছে। তবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়াটাও অযৌক্তিক হবে না। এক্ষেত্রে প্রথমবার কোন মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনায় বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নয়। তবে একাধিক বার একই কাজ করলে অবশ্যই কঠোর হোন।
একসঙ্গে থাকা নয় : বিয়ের আগে একসঙ্গে বেশি সময় কাটানো খুবই ক্ষতিকর। এতে বন্ধুটি আপনার প্রতি তার অধিকার বেশি ফলাতে আগ্রহী হবে। কিন্তু বাস্তবে তা করতে গেলে পরিবেশ পরিস্থিতি আপনার সহায় নাও হতে পারে। এটা তখন আপনার বিরক্তিও সৃষ্টি করতে পারে। তাই যথাসম্ভব দুরত্ব বজায় রাখা ভাল।
একঘেয়ে রুটিন : রুটিন মানুষের জীবন কে সুন্দর করে দিতে পারে। কিন্তু একঘেয়ে রুটিন জীবনকে করে কষ্টময়। তাই আপনাদের প্রতিদিনের রুটিন পাল্টানো দরকার। একেক দিন একেক জায়গায় ঘুরতে যান। যেখানে কখনো যাননি এমন জায়গা ঘুরতে যান। দেখবেন দুজনেরই ভাল লাগছে।
সামান্য কোন কারণে সম্পর্কের ইতি টানা উচিত নয়। হৃদয়ের মাধুর্য দিয়ে চেষ্টা করুন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে। ভুলে যাওয়া যাবে না এই বন্ধুটিই হয়তো একসময় দারুন সুখ এনে দিয়েছে আপনার জীবনে। তাই এধরনের কোন সমস্যা নিজের মধ্যে থাকলে আজই দুর করা শ্রেয়।
২৩ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আল-আমিন/এএস