মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৬, ০৩:৩৪:৫৬

মাটির নীচে ১০০ বছরের প্রাচীন শহর, অথচ দারুণ ঝকঝকে!

মাটির নীচে ১০০ বছরের প্রাচীন শহর, অথচ দারুণ ঝকঝকে!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বিস্তীর্ণ মরুভূমির মাঝে মাঝে গর্ত। আর সেই গর্ত ধরে বীচে গেলেই চোখে পড়বে ঝকঝকে শহর। আবাসিক হোটেল, রেস্তোরা, একাধিক চার্চ নিয়ে পর্যটনের যাবতীয় পসরা রয়েছে ভূ-গর্ভস্থ সেই শহরে। কৌতূহল জাগছে?

শহরটি ক্যাঙারুর দেশ অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণে অবস্থিত। কুবের পেডি নামক ওই শহরের গোড়াপত্তন হয় ১৯১৫ সালে। মরু এলাকায় খনিতে সোনা খুঁজছিলেন পিতাপুত্র। সোনা না পেলেও তাঁরা যা পেয়েছিলেন তা কোনও অংশেই ফেলনা নয়। অলংকারের জন্য ঝলমলে পাথরের খোঁজ পেয়েছিলেন তাঁরা।

পরবর্তীকালে ওই পাথর বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়। তবে খনিতে অভিযানে গিয়ে বাবা ও ছেলে ভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন। মরুভূমির গরমে অতিষ্ঠ হয়ে তাঁদের বেঁচে থাকায় দায় হয়ে যায়। তবে খনির ভেতরটা ছিল বেশ ঠাণ্ডা।

তারপর থেকে খনির মধ্যেই বসবাস শুরু করেন বাবা ও ছেলে। ধীরে ধীরে মরুভূমির খনিতে মানুষ আসা শুরু করে এবং একসময় সেখানে অধিবাসীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়। বর্তমানে ওই শহরে জনসংখ্যা তিন হাজার।

আজব শহর কুবের পেডির জীবন যাপন আর পাঁচটা শহরের মতো যে নয় তা বলাই বাহুল্য। রাস্তার বদলে ওই শহরে রয়েছে সুড়ঙ্গ। মাটি কেটে কেটে তৈরি হয়েছে ঘর-বাড়ি। একমাত্র বাড়ি গুলির আসবাবের সঙ্গে সমতলের আসবাবপত্রের মিল পাওয়া যায়। ওই মাটির নীচের শহরেই আছে পাঁচটি চার্চ, একটি রেস্তোরা, বিশাল লাইব্রেরি এবং পর্যটকদের জন্য একটি হোটেল।
১৯ এপ্রিল ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে