বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৬, ০৯:১৫:৪৪

বিয়ে করবেন, পাত্রী খুঁজছেন? তবে এই সংবাদটি আপনার জন্য

বিয়ে করবেন, পাত্রী খুঁজছেন? তবে এই সংবাদটি আপনার জন্য

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : শান্ত ও ঘরোয়া স্বভাবের মেয়েদেরকেই স্ত্রী হিসেবে পছন্দ করেন অনেক পুরুষ। তাদের ধারণা এরাই স্ত্রী হিসেবে খুব ভালো হয়। সংসারের দিকে বেশ মনোযোগ থাকে। স্বামীর প্রতিও দারুণ যত্নবান। আর তাই ৯৫ ভাগ পুরুষই চান তাদের স্ত্রী এমন শান্ত সৃষ্টই হোক।

তবে এমন ধারণাটা সম্পন্ন ভুল। মনোমিবজ্ঞানিরা কিন্তু এর উল্টো কথাই শুনিয়েছেন। মনোবিজ্ঞানিদের মতে, যাদের আপাতপক্ষে দেখে খানিকটা 'পাগলি' বলে মনে হয় আসলে তারাই স্ত্রী হিসাবে সব থেকে ভালো হন।

এখানে পাগলি-র অর্থ অবশ্যই মানসিক ভারসাম্যহীন নয়। যাদের কাণ্ডকারখানা আর পাঁচজনের চেয়ে খানিকটা আলাদা। আসলে সমীকরণের বাইরে যারাই থাকেন, তাদের ক্ষেত্রেই এমন বিশেষণ যোগ হয়। এর পেছনে ৭টি কারণ ব্যাখ্যা করেছেন মনোবিদরা। দেখে নিন সেগুলি কী কী।

১। নির্ভেজাল মানুষ: তারা যেমন, তেমনটাই সকলের সামনে থাকেন। কোনও ভেক ধরেন না। আপনি একবার দেখেই বুঝবেন এর দোষ-গুণ কী কী রয়েছে। এরা নিজেদের দোষ ঢাকতে মিথ্যার আশ্রয় নেন না। মানুষ হিসাবেও খুব সত্‍ হন।

২। অসাধারণ প্রেমিকা: আদর্শ প্রেমিকা বলতে যা বোঝায় এরা তাই। ভালোবাসার জন্য আলাদা কোনও দিনের প্রয়োজন হয় না। ইনি সঙ্গে থাকলে যে কোনও দিন ভ্যালেন্টাইন্স ডে বলে মনে হতে পারে। বিয়ের পরে অনেকের ক্ষেত্রেই প্রেম-জীবন পানসে মনে হয়। কিন্তু এদের ক্ষেত্রে কথাটি একেবারে খাটে না।

৩। সৃজনশীল: আসলে সৃজনশীল মস্তিষ্কের জন্যই এরা আর পাঁচজনের থেকে আলাদা হন। জীবনে, মননে এরা খুব সৃজনশীল প্রকৃতির হয়ে থাকেন। আউট অফ দ্য বক্স ভাবতে এদের জুড়ি মেলা ভার।

৪। ন্যাকামি পছন্দ নয়: ট্রেকিংয়ে হোক বা ঘরোয়া পার্টি, এরা মহিলা হিসাবে কখনও আলাদা সুবিধা দাবি করেন না। যেখানে যেমন, সেখানে তেমন ভাবেই থাকতে পছন্দ করেন। তাই ঘুরতে বেরিয়ে বা ট্যুরে গিয়ে কখনও এদের নিয়ে সমস্যায় পড়বেন না।

৫। সব সময় আপনাকে আগলাবেন: এদের সামনে যদি স্বামী বা কোনও প্রিয়জনকে কেউ অপমান করেন, তবে আর রক্ষে নেই। যত ক্ষণ না অপমানকারীকে মাথা নত করাচ্ছেন, তত ক্ষণ খান্ত হন না। বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: যদি স্বামী হিসাবে আপনিও কখনও তাকে অপমান করার চেষ্টা করেন, তবে আপনারও একই অবস্থা হবে কিন্তু।

৬। এনার্জিতে ভরপুর: এরা যাকে বলে হাই অন অক্টেন এবং মোটিভেটেড থাকেন। শুধু নিজেরাই নন, এদের সঙ্গে যারা থাকেন, তারাও সানিধ্যের গুণে অনুপ্রাণিত হয়ে উঠবেন। পাহাড় চড়া থেকে নতুন ব্যবসা শুরু করা, তসবেতেই এরা কখনও পাশ থেকে সরে যাবেন না।

৭। হারতে জানেন না: এদের মনের জোর এতটাই বেশি হয়, যে এরা হার মানতে জানেন না। অনেকেই যে পরিস্থিতিতে হাঁপিয়ে উঠবেন বা নিয়তির ওপর নিজেকে সঁপে দেবেন, এরা সে পরিস্থিতিতে লড়াই চালিয়ে যাবেন। যত ক্ষণ না জিতে যাচ্ছেন।

নিঃসন্দেহে বলা যায়, এ রকম জীবন সঙ্গিনী সহজে খুঁজে পাবেন না। বা পেলেও প্রথমেই যে বিয়ের জন্য রাজি হয়ে যাবেন তাও নয়। তবে যদি কখনও খুঁজে পান, আঁকড়ে ধরবেন। আপনার থেকে লাকি আর কেউ হবেন না।
২০ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে