এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, দেশে ব্যবহৃত ছয়টি মোবাইল অপারেটরের প্রায় তিন হাজার ব্যক্তির ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর মুখস্থ বলতে পারেন বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার হেজাতিপাড়া মহল্লার শাহিন। তিনি প্রায় ১৪ বছর ধরে মোবাইল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন নম্বর মুখস্থ করার সুযোগ পান।
টেলিভিশনের কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য তার এই প্রচেষ্টা বলে জানা গেছে। ২০০০ সাল থেকে মোবাইল নম্বরের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি তিন হাজার মোবাইল নম্বর মুখস্থ হয়েছে তার। ২০০০ সালে গ্রামীণফোনের একটি মোবাইল ফোন দিয়ে তিনি কথা বলানো ব্যবসা শুরু করেন।
এরপর ২০০২ সালে শুরু করেন ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা। গ্রামীণফোন, টেলিটক, বাংলালিংক, রবি, সিটিসেল, এয়ারটেল— এই ছয়টি মোবাইল অপারেটরের ফ্লেক্সিলোড পাওয়া যায় তার দোকানে। এ ছাড়া বিকাশ ও ডাচ্-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেনের ব্যবস্থাও রয়েছে। বাগমারা উপজেলা সদরের ভবানীগঞ্জ বাজারের গরুহাটাসংলগ্ন জিরো পয়েন্ট এলাকায় তার একটি দোকান রয়েছে।
শাহিন জানান, দু-একবার ফ্লেক্সিলোড দেওয়ার পরই ওই নম্বরটি মুখস্থ হয়ে যায় তার। যারা নিয়মিত তার দোকানে ফ্লেক্সিলোড করতে আসেন, তাদের সবার নম্বর প্রায় মুখস্থ রয়েছে। দোকানে এসে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর শুধু নাম বললেই ফ্লেক্সিলোড দিতে পারেন।
শাহিন জানান, শখের বশে তিনি এমনটি রপ্ত করেছেন। প্রতিদিনই দু-একটা নম্বর মুখস্থ হয়ে যায়। তার ইচ্ছা, এই প্রতিভার মাধ্যমে টেলিভিশনের কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা। বিশেষ করে, বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে যাওয়ার সুযোগ পেলে তার সাধনা পূর্ণ হতো বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/