এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : যে কলেজে ছাত্র-শিক্ষক সবাই ভূত! এ যুগে এ কথা মানবে কেউ? বলবে- ‘পাগলে কি না বলে আর ছাগলে কি না খায়’! এমন আজগুবি কথা কত্থেকে যে আবিষ্কার করে? বিশ্বাস হচ্ছে না? তবে জেনে নিন, এমন ঘটনার সাক্ষী সেই কলেজের কথা। শুনলে ভর্তি তো দূরে থাক, রাতে ঘুমিয়েও চমকে উঠবেন।
এমন তথ্যই জানা গেছে জিনিউজের এক প্রতিবেদনে।
ভারতের হায়দরাবাদে অবস্থিত খয়রাতাবাদ সায়েন্স কলেজ। দেশটির বিভিন্ন রাজ্য থেকে থেকে মেধাবী গবেষকরা সেখানে পড়তে যেত। কিন্তু কালের প্ররিক্রমায় সেই খয়রাতাবাদ কলেজ বিল্ডিংয়ে রাতের অন্ধকারে তো দূরের কথা, দিনেও কেউ ঢুকতে সাহস করে না। একদিন হঠাৎই আগুন লেগে যায় কলেজের গবেষণাগারে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আগুন লাগার পর কলেজটি বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু বায়োলজি ল্যাবের ভেতরে গবেষণার জন্য রাখা মৃতদেহগুলো সরানো হয়নি। এরপর রাতে কলেজের জানালায় কঙ্কালদের নাচতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অনেকে কলেজে আলোর ঝলকানিও দেখেছেন, কেউ আবার রহস্যজনক আওয়াজ শোনারও দাবি করেছেন। কিন্তু কেউই এ কলেজের সামনে দিয়ে সূর্যাস্তের পর আর যাওয়ার সাহস করে না আজকাল। স্থানীয়দের বিশ্বাস, যারা এই পোড়ো কলেজ বিল্ডিংয়ের ঢোকার সাহস করেছে তারা কেউই নাকি আর জীবিত ফিরে আসেনি।
বছর কয়েক আগে রাতে পাহারা দেয়ার জন্য সেই কলেজে এক নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করে সরকার। কিন্তু সেই রক্ষীও রহস্যজনকভাবে খুন হন! অনেকেই বলেন, কলেজ পুড়ে গেলেও বায়োলজি ল্যাবের মধ্যে থাকা অতৃপ্ত আত্মাদের কারণেই এসব ভূতুড়ে ঘটনা হচ্ছে। একদিন যেখানে মেধাবী গবেষকরা গবেষণা করতো, সেখানে এখন ভূতের শাসন। ছাত্র, শিক্ষক সবাই যে ভূত! ভর্তি হবেন?
২১ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এমএস