শুক্রবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৬, ০৩:০৪:২৭

পানির জন্য হাহাকার করবে ভারত, আমদানি করে বাঁচতে হবে!

পানির জন্য হাহাকার করবে ভারত, আমদানি করে বাঁচতে হবে!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ভারতে কয়েক বছর ধরে চলছে তীব্র খরা। চাহিদার তুলনায় পানির যোগান কম থাকায় দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে চলছে হাহাকার। গৃহস্থলী কাজে ব্যবহারের জন্য মাইলের পর মাইল পাড়ি দিয়ে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।

দেশটির শীর্ষ স্থানীয় একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ পানি আমদানি করতে হতে পারে ভারতকে। ভারতে ভূগর্ভস্থ পানির মজুদ কমে যাচ্ছে। বর্তমান প্রবণতা চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ দৈনিক ব্যবহারের জন্য একজন ব্যক্তি পানি পাবেন তিন হাজার ১২০ লিটার। ভারতের কেন্দ্রীয় ভূগর্ভস্থ পানি বোর্ড সিজিডব্লিউবির হিসাব অনুযায়ী, ১৯৫১ সালে দেশটিতে দৈনিক ব্যবহারের জন্য জনপ্রতি পানি ছিল ১৪ হাজার ১৮০ লিটার। ১৯৯১ সালে তা কমে অর্ধেকের নিচে নেমে যায়। ২০২৫ সাল নাগাদ মজুদ কমে দাঁড়াবে ২৫ শতাংশে। আর ২০৫০ সালে তা দাঁড়াবে ২২ শতাংশে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃষ্টি কম হওয়া, নদী, হ্র্রদ ও কুয়ার পানি সেচকাজে ব্যবহার, সচেতনতার অভাব, সবুজায়ন কমে যাওয়ার কারণে ভূগর্ভস্থ পানির মজুদ কমছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সেচভিত্তিক চাষাবাদ, সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নগরের জীবনযাত্রার উন্নয়নসহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার হচ্ছে।

গ্রামাঞ্চলে গৃহস্থালি প্রয়োজনের ৮৫ শতাংশের বেশি মেটানো হয় ভূগর্ভস্থ পানি থেকে। এ ছাড়া শহরাঞ্চলে ৫০ শতাংশ ও সেচকাজে ব্যবহৃত ৫০ শতাংশ পানিই ভূগর্ভস্থ। এসব কারণে পানির এ মজুদ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় কৃত্রিমভাবে ভূগর্ভস্থ পানির মজুদ বাড়াতে মহাপরিকল্পনা করছে ভারত সরকার।

এর অংশ হিসেবে মোট ৩০টি ক্যানাল সিস্টেমের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পে বৃষ্টিপ্রধান উত্তর-পূর্ব ভারত (বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাত ৩৫০০ মিলিমিটার) থেকে খাল কেটে পানি সরিয়ে পশ্চিম ভারতে (বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাত ৭০০ মিলিমিটার) এবং দক্ষিণ ভারতে (বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাত ১০০০ মিলিমিটার) পাঠানো হবে। প্রকল্পটি রাজস্থান, গুজরাট ও দক্ষিণ ভারতের জনগণকে লাভবান করবে।   -টাইমস অব ইন্ডিয়ার
২২ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে