স্কুল নয়, এবার থেকে ই-স্কুল
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে ডিগ্রি পেতে চান? কিন্তু বিদেশ যাওয়ার খরচ নিয়ে চিন্তায় আছেন? বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু নিজেই আসতে পারে আপনার ঘরে। কীভাবে?
ক্লাসরুম, বললেই মনে হয় একটা ব্ল্যাকবোর্ড, চেয়ার টেবল, আর কয়েকটা বেঞ্চ৷ তবে ইদানিং ক্লাসরুমের এলাকা চার দেওয়াল ছেড়েছে৷ ইন্টারনেটের যুগে পড়াশোনাও কিন্ত্ত 'গ্লোবাল'৷ গ্লোবাল ক্লাসরুম৷ এটি এক প্রকারের বিশেষ শিক্ষা পরিকল্পনা, যেখানে পৃথিবীর নানা প্রান্তের ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিষয়গত আলোচনা করা যায়৷ সারা পৃথিবীতে কিন্ত্ত এর দাম চড়চড় করে বাড়ছে৷ ভারতে এই পরিকল্পনা তেমন ভাবে জনপ্রিয় এখনও হয়নি৷ কিন্ত্ত জনপ্রিয়তার দিকে এগোচ্ছে, এ কথা বলাই বাহুল্য৷ কেবল মাত্র ই-মেল, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এর জন্যই না, ইন্টারনেট আর সব সময়ের একটা স্মার্টফোন একজন ছাত্রের পড়াশোনা-গবেষণার হাতের পাঁচ এখন, এক কথায় যাকে বলা হচ্ছে ই-লার্নিং৷
পরিসংখ্যানও কিন্ত্ত আপনাকে একই উত্তর দেবে৷ সমীক্ষায় প্রকাশিত, ২০১৮ সালের ভিতরেই ভারতীয় ই-লার্নিংয়ের বাজার একশ কোটি ডলারেরও পারদ ছাড়াবে৷ আশাবাদীরা জানাচ্ছেন যে, এই অঙ্ক শেষ পর্যন্ত চার হাজার থেকে ষাট হাজার কোটি টাকাতেও পৌঁছতে পারে৷ ভাবতেও অবাক লাগে, যে ভারতের বেশিরভাগ শিক্ষাক্ষেত্রে এই ধরনের প্রকার পদ্ধতি একেবারেই চালু নয়৷ কিন্ত্ত পরিসংখ্যান এটাও বলছে যে আগামীদিনে শিক্ষার অন্যতম সেরা পদ্ধতি হতে চলেছে এই ই-লার্নিং৷
একথা সকলেই মানছেন , উচ্চ পর্যায়ের গবেষণা বা পড়াশোনার জন্য সারাক্ষণই বিষয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে হয়৷ সারা পৃথিবীতে একই ধরনের নানা গবেষক, তাঁদের কাজ, বিষয় সম্পর্কে নতুন ধারণার বিকাশ ঘটানোর জন্যই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর সঙ্গে যোগযোগ গড়ে তোলা দরকার৷ অনেক সময়ে একজন ব্যক্তির পক্ষে একসঙ্গে একাধিক ক্লাসে উপস্থিত থাকা সম্ভব হয় না, অনেকগুলো কোর্সও করা যায় না৷ কিন্ত্ত গ্লোবাল ক্লাসের দৌলতে সেই যোগসূত্র তৈরি করা যায়৷ যেখানে অনেক সময়ে শিক্ষার্থী উপস্থিত না থেকেও সেই ইউনিট বা পেপারের ক্লাসটি করে নিতে পারেন, পেয়ে যেতে পারেন কোর্স মেটিরিয়ালও৷
হিসাব বলছে ভারতে ইন্টারনেটের ব্যবহারকারির সংখ্যা অতিদ্রুত ২৫ কোটি ছাড়িয়ে যাবে৷ ফলে দেখা যাচ্ছে দেশের এক চতুর্থাংশের ব্যবহার করা এই মাধ্যমকে শিক্ষাক্ষেত্র থেকে দূরে রাখলে আর চলবে না৷ তাই ইউএনও, গ্লোবাল ক্লাসরুম, ই-লার্নিংকে বর্তমানে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে৷ তাই ইন্টারনেটের ব্যবহারই আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একনিষ্ট শিক্ষার্থী করে তুলবে কয়েক পলকে৷ অপেক্ষা, শুধু আঙুল ছোঁয়ানোর৷-Indiatimes
২৩ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আল-আমিন/এএস