এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : এক হিসেবে দেখলে যে কোনো রচনাই ‘গোরুর রচনা’। আসলে আমরা সকলেই সারা জীবন ধরে একটি সার্থক গরুর রচনাই লিখতে চেয়েছি। কেবল এই প্রশ্ন আমাদের বিভ্রান্ত রেখেছে কোনটা সার্থক হবে? গোরু? নাকি তার রচনা? ভাবতে ভাবতে আমাদের বয়স বেড়েছে, মাথার চুলের গোড়ায় মেঘ জমেছে, চোখের তলায় কাকের রং স্পষ্ট আকার নিয়েছে। কিন্তু সেই গোরুর রচনাটি লিখা আজ হয়নি।
কিন্তু তাই বলে নতুন প্রজন্ম পিছিয়ে থাকেনি। আদি ও অকৃত্রিম গোরুকে কীভাবে ‘রচনায়িত’ করা যায়, তার চেষ্টায় তারা সচেষ্ট হয়েছে। গোরুর গহীনে থেকে যাওয়া ব্যঞ্জনা, তার গূঢ়ার্থ, তার দ্যোতনা ইত্যাদি প্রভৃতিকে তারা তুলে আনতে চাইছে নিজস্ব আঙ্গিকে। গোরু কি মেটাফর হিসেবে দেখা দেবে তাদের কলমে? নাকি নগরায়িত সংস্কৃতির মটর গস্তিতে গোরু হয়ে দাঁড়াচ্ছে এক মানদণ্ড?
ফেসবুকে সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে কোনো এক স্কুলছাত্রের লেখা একটি গোরুর রচনার প্রতিলিপি। শিক্ষকের অননুকম্পিত হৃদয় তাকে শূন্য দিয়েছে। কিনতু সে কি সত্যিই শূন্য পাওয়ার যোগ্য? আপনারাই বিচার করুন।-এবেলা
২৬ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই