এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : কোরবানির ঈদে আমাদের দেশে পশুর দাম নিয়ে মাতামাতি কম হয় না। দক্ষিণ আফ্রিকায় মহিষের দাম নিয়েও প্রায়ই চলে মাতামাতি। কিন্তু এক প্রজাতির মহিষের দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশাল আকৃতির এক মহিষ বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৮ মিলিয়ন পাউন্ডে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৪ কোটি টাকা! চার ব্যবসায়ী মিলে হরাইজন নামে মহিষটি কিনেছেন।
এর মধ্যে পিটার বেলিংহাম নামে এক ব্যবসায়ী এর ২৫ শতাংশ কিনেছেন ২ দশমিক ১ মিলিয়ন পাউন্ডে। ভাবতে পারেন, একটি মহিষের দাম ৯৪ কোটি টাকা!
কেপ বাফেলো প্রজাতির এই মহিষটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, দুই শিংয়ের মধ্যবর্তী দূরত্ব ৫ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এটি আফ্রিকার বিশাল আকৃতির পাঁচ প্রাণীর একটি।
অন্য ৪টি বিশাল প্রাণী হচ্ছে সিংহ, হাতি, গণ্ডার আর চিতাবাঘ। নির্বিচার শিকারের ফলে এ প্রজাতির প্রাণী আজ বিপন্নপ্রায়। এই প্রজাতির মহিষ উৎপাদন করে বিক্রি করা একটা ভালো ব্যবসা দক্ষিণ আফ্রিকায়। এতে সরকারি পর্যায়ে উৎসাহও দেয়া হয়।
এতে ঐতিহ্যবাহী প্রজাতি হয়তো বিলুপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারে।
হরাইজন এখন আছে রাসটেনবার্গে। পিয়েট ডি টোইট নামে তার এক মালিকের খামারে। প্রজননের জন্য স্ত্রী-মহিষ নিয়ে লোকজন ব্যবসায়ীদের কাছে আসবে।
অর্থের বিনিময়ে তারা হরাইজনের সঙ্গে ওই স্ত্রী মহিষদের প্রজননের ব্যবস্থা করবে। চার ব্যবসায়ীর সবাই প্রতিবছর ১০টি করে স্ত্রী মহিষ প্রজনন করানোর সুযোগ পাবেন।
এর আগে কেপ বাফেলো প্রজাতির মহিষের রেকর্ড দাম উঠেছিল ১৯ লাখ পাউন্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিলিয়নেয়ার জোহান রুপার্ট মিসটেরি নামে ওই মহিষটি কিনেছিলেন ২০১৩ সালে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় মহিষ নিলামে তোলা ঐতিহ্যের মতো হয়ে গেছে। দেশটির বর্তমান উপ-রাষ্ট্রপতি ও সাবেক ট্রেড ইউনিয়ন নেতা সিরিল রামাপোশা একবার ১৯ মিলিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকান র্যান্ড দর হাঁকিয়েছিলেন একটি মহিষের নিলামে।
দরিদ্র মানুষের রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত এ নেতাকে এ জন্য ২০১২ সালে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল। সূত্র : দি টেলিগ্রাফ
২৬ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম