বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:৪৯:০৬

গাজার বিমানবন্দরটি এখন শুধুই স্মৃতি

গাজার বিমানবন্দরটি এখন শুধুই স্মৃতি

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের নামে গাজায় একটি ছোট বিমান বন্দর নির্মাণ করা হয়েছিল। বিমান বন্দরটি উদ্বোধন করতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন সস্ত্রীক গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন ইয়াসির আরাফাত।

বিমান বন্দরটি থেকে গাজার হাজিরা হজ করতে সৌদি আরবে যান। ওই বিমান বন্দরে উড়ন্ত হাসপাতাল এসেছিল। তবে এখন সবই স্মৃতি হয়ে আছে। ইসরায়েলি আগ্রাসন ও হত্যাযজ্ঞের হাত থেকে রেহাই পায়নি ওই ছোট বিমান বন্দরটিও।

গাজায় ইয়াসির আরাফাতের নামে বিমান বন্দরটি বছর তিনেক চালু ছিল। ১৯৯৮ সালে রাফায় ওই বিমান বন্দরটি ৬০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে নির্মাণ করা হয়। মিসর, জাপান, সৌদি আরব, স্পেন, জার্মানি ও ইউরোপীয় দেশগুলো বিমান বন্দরটি নির্মাণে সাহায্য করে।

কিন্তু ইসরায়েলি বোমারু বিমানের বোমা বর্ষণে বিমান বন্দরটির কন্ট্রোল টাওয়ার, রানওয়ে, টার্মিনাল ভবন কোনো কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। অথচ এই বিমান বন্দর থেকে কোনো জঙ্গী বিমান ইসরায়েলে হামলা করতে উড্ডয়ন করেনি।


গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাবার আগে যে আলোচনা হয় তাতে এ বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু করার বিষয়টি হামাসের পক্ষ থেকে অন্যতম শর্ত থাকলেও তাতে পাত্তা দেয়নি ইসরায়েল। অথচ গাজার এই একমাত্র বিমান বন্দরটিই সেখানে দুনিয়ার জানালা হিসেবে পরিচিত ছিল। মরোক্কোর প্রকৌশলীরা বিমান বন্দরটির নকশা এঁকে দিয়েছিলেন।

বিমান বন্দরটি ফের যাতে চালু না হয় তার পেছনে ইসরায়েলের অভিসন্ধি হচ্ছে ফিলিস্তিন যেন কখনোই একটি রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড়াতে না পারে। অথচ একদিন এ বিমান বন্দরে ফিলিস্তিনের পতাকাবাহী বিমান অবতরণ আর উড্ডয়ন করেছিল। বিমান বন্দরটি চালু হবার পর মাত্র তিন বছর তা টিকেছিল। তারপর ধারাবাহিক ইসরায়েলে বোমারু বিমানের বোমা বর্ষণে অচল হয়ে পড়ে।



২০০১ সালের ডিসেম্বরে ইসরায়েলের বুলড্রোজার ঢুকে পড়ে পুরোপুরি ধ্বংসস্তুুপে পরিণত করে বিমান বন্দরটি। চারজন ইসরায়েলি সৈন্যকে হত্যার অভিযোগ এনে বিমান বন্দরটি নিশ্চিহ্ন করে দেয় ইসরায়েল। বিমান বন্দরটির রাডার ও ক্যামেরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ধংস করতে ইসরায়েলি এফ-সিক্সটিন বিমান অভিযানে অংশ নেয়।

এখন পুরো বিমান বন্দরটি ধংসস্তুপে পরিণত হয়ে আছে। বিমান বন্দরটি এখনো ফের চালু করতে চায় ফিলিস্তিনের নেতারা। কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাতে তা করতে দিতে নারাজ ইসরায়েল। ইসরায়েল এও বলে যে বিমান বন্দরটি শুধুমাত্র কূটনীতিক ও ভিআইপিরা ব্যবহার করবেন, সে জন্যে এত বায়না কেন।



ইসরায়েল এও বলে যে গাজার বৃহত্তর অর্থনীতিতে ওই বিমান বন্দর কোনো কাজে লাগবে না। এখনো গাজায় যারা বিমান বন্দর ব্যবহার করার সঙ্গতি রাখেন তাদের ইসরায়েল, মিসর, জর্ডান বিমান বন্দর হয়েই বিদেশে যাতায়াত করতে হয়।  

সূত্র: ডেইলি মেইল

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে