বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:৫৪:৪৯

আকর্ষণীয় ফিগারের অধিকারী হওয়ার উপায়

আকর্ষণীয় ফিগারের অধিকারী হওয়ার উপায়

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সমগ্র পৃথিবী আজ জিরো ফিগারের দিকে ঝুঁকছে। স্বাস্থের দিকে নজর রাখতে প্রতিনিয়ত জিম বা ব্যায়াম করছে। নিয়ম মেনে শরীরের বাড়তি মেদ কমাচ্ছে। কিন্তু অনেক সময় আমাদের নিময়গুলি জানা না থাকায় শরীরের মেদ বাড়ছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে নানা রকম সমস্যা। মেদ কমাতে তাই আজ কিছু নিয়ম জানুন।

শীতকালে নানা উৎসবের কারণে খাওয়া বেশি হয় বলে ওজনও বেড়ে যায় দ্রুতগতিতে৷ কিন্তু সমস্যা হয় পরে, যখন গ্রীষ্মের সুন্দর জামা-কাপড়গুলো আর ঠিকমতো শরীরে লাগে না৷ তাই স্বাস্থ্য সচেতন ছেলে-মেয়েরা শীতে জমে যাওয়া মেদ কমাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে৷ এই বাড়তি চর্বি গায়ে বসে গেলে যে কমানো খুব কঠিন হবে, তাই তো সময় থাকতেই কমিয়ে ফেলতে হবে কয়েক কেজি বাড়তি ওজন৷



অনেকদিন থেকে গায়ে জমে থাকা অতিরিক্ত মোটা মানুষের মেদ কমানো অনেক শক্ত ব্যাপার৷ তাই অত দূর পর্যন্ত যেতে না দিয়ে আগেই সতর্ক হওয়া উচিত৷ তাই আজ থেকেই শুরু করে দিন হাঁটাহাঁটি৷ এ হাঁটা অবশ্য সে হাঁটা নয়, অর্থাৎ খুব দ্রুত কমপক্ষে ১৫ মিনিট হাঁটতে হবে এবং তা করতে হবে প্রতিদিন৷ বলেন মিউনিখ শহরের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ ও স্পোর্টস বিশেষজ্ঞ প্রফেসার মার্টিন হালে৷

আরাম করে জগিং করলে ক্যালোরি খরচ হয় কম, তাই খুব দ্রুত গতিতে হাঁটা প্রয়োজন৷ এই যেমন, ১৫ মিনিট জোরে জোরে হাঁটায় খরচ হয় ১৬০ কেজি ক্যালোরি৷ এতে বছরে সাত থেকে আট কেজি এমনিতেই কমার কথা৷ আসলে এ বিষয়ে নিজের জন্য একটি ‘কনসেপ্ট’ তৈরি করতে হবে, যাতে থাকবে কিভাবে, কি কি করা যায়!

হাঁটার সময় ফোনে কথা বলা বা অন্য কোনো কাজ করলে কিন্তু চলবে না৷ এতে মনোযোগ চলে যায় অন্যদিকে, কাজেই হাঁটাতেই পুরো মনোযোগ দিলে স্বাভাবিকভাবে ফলাফলও ভালো হয়৷

খাওয়া-দাওয়ার দিকেও খানিকটা নজর দিতে হবে৷ তবে তাই বলে পছন্দের খাবারগুলো সব বাদ দিতে হবে – এমন নয়৷ চর্বি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার কম এবং সে তুলনায় ফল এবং সবজি কিছুটা বেশি খেতে হবে৷ তবে মিষ্টিজাতীয় পানীয় একেবারে নয়!



সপ্তাহে দু’দিন নিয়ম করে যোগব্যায়াম করা যেতে পারে, কারণ কারো পেশাগত জীবনে বা অন্য কারণে মানসিক চাপ থাকলে যোগব্যায়াম থেকে খানিকটা উপকার পাওয়া যায়৷ এছাড়া মানসিক চাপ কম থাকাক অর্থই হলো, সব কিছু সহজে হওয়া৷ অর্থাৎ কয়েক কেজি ওজন কমানো তখন আর কোনো ব্যাপার নাকি?

মাঝে-মধ্যে পানিতে সাঁতার কাটা বা ব্যায়াম করা যেতে পারে৷ এতেও শরীরচর্চা হয়, তবে এগুলো তেমন জরুরি নয়৷ নিয়মিত সাঁতার কাটতে পারলে শরীরটা একটু হলকা বোধ হয়, ফলে বাড়তি মেদ কমানোর আগ্রহ বেড়ে য়ায়৷

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মেদ কমাতে জল বা পানির পান করার জুড়ি নেই৷ যে কোনো মানুষেরই দিনে কমপক্ষে দশ গ্লাস পানি পান করা উচিত৷ তবে যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য প্রয়োজন আরো বেশি পরিমাণ পানি পান করা৷



শীতকালে জমে থাকা মেদ কমানো আসলে খুব কঠিন কাজ নয়৷ একটু ইচ্ছে আর সামান্য ধৈর্য থাকলেই তা সম্ভব৷ আর একমাত্র তাহলেই হওয়া যায় আকর্ষণীয় ফিগারের অধিকারী৷ যে কোনো পোশাকেই তখন নিজেকে দেখতে ভালো লাগে৷ আর মনটাও থাকে আনন্দে!   

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আল-আমিন/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে