বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:১৫:০৮

টিস্যু দিয়ে মাঠা তৈরি!

টিস্যু দিয়ে মাঠা তৈরি!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মৌসুমে আমাদের খাবারের তালিকায় একটি একটি করে প্রিয় খাবার তৈরি হয়। সেই প্রিয় খাবারটি কিভাবে তৈরি হয় তা অনেকেই জানি না। তবে কোনো একসময় ভেজাল বিরোধী অভিযানে সেই খাবার তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। আর সেই খাবের তালিকা বাদ পরতে থাকে।

নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তার উপর টিস্যু পেপার দিয়ে দুধের সর তৈরি করে এটিকে আসল মাঠা প্রমাণ করার কাজে ব্যস্ত এসব অসাধু কারিগররা। শুধু কি মাঠা? ফুসকা ও মাঠা অনেকের খাবার তালিকায় প্রিয় খাবার হিসেবে যোগ হয়। কিন্তু সেই ফুসকা ও মাঠা কিভাবে তৈরি হয় তা জানি না। এই বিষয় জানার জন্য ইনডিপেডেন্ট টেলিভিশনে তালাশ টিমে সেই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, বিষাক্ত আম খাওয়া তুলা খাওয়ার মতো। আমরা বোতল ভর্তি আমের জুস খাই। কিন্তু সেই আমের জুস মাত্র ১৫ টাকা দিয়ে কিনতে পাওয়া যায়। আমলে একটি বোতল ভর্তি করতে একটি আম দিয়ে সম্ভব নয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, পুরান ঢাকার সুত্রাপুর এলাকায় ছোট-বড় মিলে প্রায় দেড়শ হোটেল রয়েছে। প্রত্যেক হোটেলেই খাওয়ার আগে ও পরে হাত মুছে টিস্যু ফেলার ঝুড়ি রয়েছে। এসব ঝুড়ি থেকে ওই টিস্যুগুলো বস্তা ভরে নিয়ে যায় কিছু ছেলে। এসব টিস্যু কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়- এ বিষয়ে অনেকের আগ্রহ না থাকলেও কিছু লোক বিষয়টা জানে।

 এরকম একজনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, সুত্রাপুরের বিভিন্ন হোটেল থেকে সংগ্রহ করা টিস্যু পেপার শ্যামপুরের মুসলিম মাঠা কারখানায় যায়। ওই কারখানায় এগুলো দিয়ে মাঠা তৈরি হয়। পরে ওই কারখানায় গেলে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি কারখানা কর্তৃপক্ষ।

কারখানায় কোনো সাইনবোর্ড না থাকলেও মাঠার বোতলে লেখা রয়েছে ‘মুসলিম মাঠা’। কিন্তু বোতলের গায়ে কারখানার ঠিকানা লেখা নেই। ‘ভেজালমুক্ত খাবার খাবেন, সারা জীবন সুস্থ থাকবেন’- এ কথাও লেখা রয়েছে বোতলের গায়ে।

শ্যামপুরে এ রকম অসংখ্য কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় তৈরি মাঠা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা এসে নিয়ে যায়।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আনোয়ার পাশা জানান, পুরান ঢাকায় এ ধরনের বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেগুলিকে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। খুব শিগগির ওই ভেজাল কারখানাগুলোতে অভিযান চালানো হবে।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে