টাকার অভাবে ছাত্র অবস্থায় অনাহারে ছিলেন মনমোহন
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছাত্র জীবনে বাবার ইচ্ছায় ডাক্তারি কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু ডাক্তারি তার ভাল না লাগায় ছেড়ে দিয়েছিলেন। বাবার দোকানে কাজ করতেন। সেটাও পছন্দ হল না। পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালে অর্থনীতি নিয়ে ভর্তি হলেন কলেজে।
কোনও দেশ ধনী, কোনও দেশের বেশিরভাগ মানুষই আবার গরীব। এই বৈষম্য নাড়া দেয় তাকে। এর উত্তর অর্থনীতির মধ্যেই আছে বলে মনে করেন তিনি।
আবার কেমব্রিজে পড়ার সময় খরচ বাঁচানোর জন্য বিয়ার খেতেন না। এমনই সব অজানা তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ‘স্ট্রিক্টলি পার্সোনাল: মনমোহন অ্যান্ড গুরশরণ’ শীর্ষক বইয়ে, যেটি লিখেছেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের মেয়ে দমন সিংহ।
এই বইয়েই মনমোহন সিংহের মেয়ে দমন সিংহ জানিয়েছেন মনমোহন সম্পর্কিত নানা অজানা তথ্য। যেমন, মৃদুভাষী অথচ অত্যন্ত মজার মানুষ তার বাবা পরিচিত ব্যক্তিদের গোপন ডাকনামে ডাকতেই বেশি ভালবাসেন।
বিদেশের দিনগুলি কেমন ছিল মনমোহনের? দমনের কথায়, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন পড়া ও থাকবার খরচ মিলিয়ে ৬০০ পাউন্ড লাগত। টাকা কম থাকলে দু-এক বেলা উপোস করে বা চকোলেট খেয়েই কাটিয়ে দিতেন মনমোহন। তখনও অবশ্য কেউ জানতেন না যে তিনি একদা দেশের প্রধানমন্ত্রীত্বের দায়িত্ব সামলাবেন।
ক্রিকেট খুব ভালোবাসতেন মনমোহন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে ক্রিকেট খেলতেন, ক্রিকেট ম্যাচ দেখতেনও। বন্ধুদের সঙ্গে মাঝে মাঝে সিনেমা দেখতে যেতেন। ধর্মীয় সমালোচনা, রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং সামাজিক বিষয়ে লেখা বই গোগ্রাসে গিলতেন তিনি। তাঁর বিশেষ পছন্দের ছিল আধুনিক পাঞ্জাবি সাহিত্য। তবে সরকারি দফতরের কাজ যথেষ্ট দায়িত্ব নিয়ে সামলালেও টিভি চালানো বা ডিম সেদ্ধ করার মতো সাধারণ কাজ তিনি করতে পারতেন বলেই লিখেছেন মনমোহন-কন্যা।
তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গত ১০ বছরের কাজকর্মকে এই বইতে বাদ দিয়েছেন লেখিকা। সম্প্রতি সঞ্জয় বারু ও নটবর সিংহের লৈখা বই বিতর্ক তৈরি করেছিল। সেই কারণেই না রাখার সিদ্ধান্ত কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪/এমটিনিউজ২৪/আল-আমিন/এএস