এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ১০-২০ প্রজাতির নয়, এক গাছে ধরেছে ২৫০ প্রজাতির আপেল! এমন আজব কাণ্ডের কথা কি কখনো শুনেছেন? না শুনলে এবার শুনন মজার ঘটনা।
খবরটি অবিশ্বাস্য মনে হলেও কিন্তু সত্য। এমন তথ্য দিয়েছেন ব্রিটেনের এক গবেষক।
ব্রিটেনের খ্যাতনামা উদ্যানবিদ পল বারনেট। তার বয়স ৪০। তিনি গবেষণা করছেন দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে। দীর্ঘদিনের গবেষণার ফলশ্রুতিতে তার একটি গাছেই আপেল ধরছে ২৫০ প্রজাতির।
ওয়েস্ট সাসেক্সে চিনেস্টারে বারনেটের বাড়ির পেছনে ওই আপেল গাছে পাওয়া যাবে উইথিংটম ফিলবাসকেট এবং ম্যাগনাম জাতের দুষ্প্রাপ্য আপেলও।
গবেষক বারনেট জানান, আমি প্রথমে কয়েক একর জায়গায় একটি নার্সারিতে কাজ করি। সেখানে ৯০ জাতের আপেল গাছ লাগাই। প্রায় সব জাতের গাছ লাগানোর চিন্তা করি। কিন্তু জায়গা স্বল্পতার কারণে তা আর সম্ভব হয়নি।
তিনি জানান, তাই আমার মাথায় ব্যতিক্রমী চিন্তা আসে। সেই চিন্তা থেকেই প্রতি গ্রীষ্মে বাডিং এবং শীতকালে কলম পদ্ধতির মাধ্যমে একটি আপেল গাছেই বিভিন্ন জাতের আপেল গাছ সন্নিবেশ করতে থাকি।
ওই গবেষক জানান, এভাবে প্রধান গাছটি দিন দিন শাখা-প্রশাখায় বেড়ে ওঠতে থাকে। সময়ের ব্যবধানে ওই গাছে নতুন প্রজাতির সব আপেলের সংযুক্তি ঘটে।
বারনেট বলেন, প্রতিবছর প্রতিটি জাতের স্বল্প পরিমাণ আপেল পাচ্ছি। তবে আপেলের মধ্যে বৈচিত্র্য আছে। একটি গাছে বিভিন্ন রং ও আকারের আপেল অনেক দৃষ্টিনন্দন। ২৫০ প্রজাতির প্রধান আপেল গাছটি ২০ ফুট উঁচু।
তবে এর ডালপালা বেশি হওয়ায় সেগুলো খুঁটি দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। নিয়মিত দেখভাল করে এত বড় প্রজাতির আপেলের গাছটি জনসমক্ষে আনতে সক্ষল হয়েছেন তিনি। এমনটাই জানালেন গবেষক বারনেট।
তিনি মনে করেন, ইচ্ছা এবং একাগ্রতা থাকলে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়।
৪এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম