বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৮:০৯:০৪

মিথ্যুক ধরার ১০ উপায়

মিথ্যুক ধরার ১০ উপায়

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : কথায় আছে, একটা মিথ্যা ডাকতে দশটি মিথ্যা বলতে হয়। বর্তমান সমাজব্যবস্থায় মিথ্যা কথা বলা একধরনের ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। দশটি বিষয় খেয়াল করলেই আপনি মিথ্যা কথার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারবেন।

১ . মিথ্যাবাদীরা সাধারণত চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে না । যারা মিথ্যা কথা বলে তারা আপনার চোখে চোখ রেখে কথা বলবে না। যখন কেউ মিথ্যা কথা বলে, তখন তিনি ভাবেন তাকে পরখ করছে। তাই নিজেকে বাঁচাতে মাটির দিকে তাকিয়ে থাকেন কিংবা এদিক ওদিক চোখ ফেরান। আবার কোনো কোনো মিথ্যুক মিথ্যা বলার সময় অনবরত চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেন। কারণ তারা মনে করেন, চোখে চোখ রেখে কথা বললে আপনি তার কথা বিশ্বাস করবেন।

২ . মিথ্যাবাদীরা সাধারণত নি:সংকোচে কথা বলতে পারেন না । যেমন- ‘কোনো নারীর সঙ্গে আমার শারীরিক সম্পর্ক নেই।’ কোনো মিথ্যাবাদী এমন মন্তব্য করে নিজের কথা স্পষ্ট করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এ মন্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা এর ফলে অনেকাংশে কমে যায়। অনেকেই আবার প্রশ্ন করে বসেন ‘আপনি কোথা থেকে জানতে পারলেন।’ আপনি যতক্ষণে এ প্রশ্নের জবাব দেন ততক্ষণে মিথ্যবাদী নতুন গল্প সাজিয়ে নেন।

৩ . ্এদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজও তাদের ধরিয়ে দিতে পারে। মিথ্যা কথা বলার সময় অনেকে উসখুস করেন। যার সঙ্গে   কথা বলছেন, তার দিকে পিঠ করে দাঁড়িয়ে থাকে। আবার বারবার চোখের পাতা ফেলেন। গলার স্বরও ক্রমাগত পরিবর্তন হতে থাকে তার। অনেক সময় হাত মুড়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এমন হলে বুঝবেন, ওই ব্যক্তি যে বিষয়ে বেশি কথা বলতে চাইছে না বা বেশি তথ্য জানাবেন না।বারবার মুখে হাত দেন বা হাতের কাছে যা আছে তা নিয়েই নাড়াচড়া শুরু করেন।

৪ . মিথ্যা কথাটিকে বিশ্বসযোগ্যা করতে এরা প্রয়োজনীয়-এর চেয়ে বেশি তথ্য দিতে চেষ্টা করেন। কারণ তারা মনে করেন, বেশি তথ্য তাদের দাবিকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলবে। কার্যত এর ফলে তাদের গল্প বেশি জটিল ও বিশ্বাসযোগ্য হারায়।  

৫ . যে মিথ্যা কথা বলছে, সে আত্মপক্ষ সমর্থনে বেশি জোর দিয়ে থাকে। নিজের ওপর থেকে মনোযোগ সরাতে সমস্ত পন্থা অবলম্বন করবে। আপনি তার ইমোশনে আঘাত করেছেন বলে, খুব শিগগিরই রেগে যাবে।

৬ . যারা মিথ্যা বলেন তারা তুচ্ছ বিষয়কেও সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেন, কিন্তু বহু গুরুত্বপূণ তথ্য লোকিয়ে যান। তথ্য অতিরঞ্জিত করে মিথ্যাবাদীরা নিরাপদ মনে করেন। কিন্তু শ্রোতা বিষয়টি বুঝতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শ্রোতা সমস্ত তথ্য মনে রাখেন এবং পরে প্রশ্ন করেন। সত্য হলে আগের ও পরের মন্তব্যে কোনো ফারাগ থাকে না।

৭ . চোখের মুভমেন্ট ডিরেকশন লক্ষ্য রাখুন। ডান হাতি কোনো ব্যক্তি কোনো কিছু মনে করার চেষ্টা করলে তিনিও চোখ বাম দিকে ঘুরিয়ে রাখবেন। বাঁহাতি লোকেরা এর বিপরীত দিকে করেন। মিথ্যা কথা বলার সময় অনেকেই বার বার চোখের পাতা ফেলেন বা চোখ কচলান। বার বার চোখে হাত দিলেও আঁচ করা যায় ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলছেন।

৮ . মিথ্যাবাদীরা কথা বলার সময়  অতিরিক্ত ঘামেন এবং নার্বাস বা লজ্জাবোধ করেন। এ ব্যক্তিকে আবার মিথ্যাবাদী বলবেন না। কিন্তু ঘামার সঙ্গে সঙ্গে কেঁপে উঠা এবং কষ্ট করে ঢোক গিললে অবশ্যই সে মিথ্যা বলছে।

৯ . মিথ্যাবাদীদের কথার শুরুতে হাসি মুখ থাকলেও সে হাসি বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না। অবচেতন মনে তারা বুঝতে পারে মিথ্যা বলছে।

১০ . একই গল্প দ্বিতীয়বার বলতে গেলে গরমিল দেখা দেবে । দেখবেন ওই ব্যক্তি যদি মিথ্যা বলার জন্য গল্প বানিয়ে থাকেন, তাহলে প্রথমবার যা বলেছে তার সঙ্গে কোনো মিল থাকবে না। দ্বিতীয়বার ওই ব্যক্তি যথেষ্ট চিন্তিত থাকবে।
তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে