এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : রান্না করার জন্য আগুন প্রয়োজন। আর সেই আগুনের উৎস হিসেবে কাঠ, তেল, কয়লা, বিদ্যুৎ, সৌর জ্বালানি ইত্যাদি আছে। আবার কোথাও সূর্যের আলো দিয়েও রান্না করা হয়। কিন্তু জীবনকে ঝুঁকি নিয়ে আগ্নেয়গিরি থেকে বের হওয়া আগুনের লাভায় যদি মানুষ রান্না করে তাহলে তো বিষয়টি অবাক করার মতোই।
আমেরিকার নিউইয়র্কের সাইরাকাস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যাম বোমপাস হলেন সেই ব্যাক্তি যিনি রান্না করতে লাভা ব্যবহার করেছেন। তবে আরও মজার বিষয় হলো, এতক্ষন যারা ভাবছেন যে বোমপাস এই উদ্ভট কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন কোনো এক আগ্নেগিরির কাছে গিয়ে, তাহলে ভুল করছেন। বোমপাস তার নিজের তৈরি লাভার সাহায্যে রান্না করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাইকে।
এমন উদ্ভট কাণ্ড সম্পর্কে বোমপাস বলেছেন, ‘আমরা সব সময়ই রান্নার ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি খোঁজার চেষ্টা করি। আর আমাদের সামনে তো অধ্যাপক রবার্ট সোকেই উদাহরণ হিসেবে উপস্থিত আছেনই। তিনি লাভা নিয়ে টানা পাঁচ বছর গবেষণা করেছেন।’
তবে এই ভয়ংকর কাজটি একা একা করতে পারেননি বোমপাস। তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে হয়েছে অধ্যাপক রবার্ট সোকেইকে। এই দুইয়ের সমন্বয়ে তৈরি করা হয় কৃত্তিম লাভা। আর পৃথিবীর ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এটাই প্রথম লাভায় রান্না।
লাভার আগুনে তৈরি হওয়া রান্না খাওয়ার পর উচ্ছসিত বোমপাস জানান, ‘আপনি যখন লাভায় রান্না করবেন তখন নিজেই অবিভূত হয়ে যাবেন। কারণ লাভার রয়েছে সঠিক তাপমাত্রা। সাধারণত আমরা যখন বারবিকিউ করতে যাই তখন অনেক ধোয়া হয়, আর এর অন্যতম কারণ হলো পর্যাপ্ত উত্তাপ না পাওয়া। লাভাতে এই সমস্যাটি আপনাকে একেবারেই পোহাতে হবে না।’
রবার্ট সোকেই তার গবেষণা দলের হয়ে জানান, ‘আমি প্রথমে ভেবেছিলাম তারা মজা করছে। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের কথা শুনে মনে হলো তারা সত্যিই সিরিয়াস। কারণ পুরো ব্যাপারটাই খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষী। তারা কাজের সময় অনেক পরিশ্রম করেছে। আর সত্যি বলতে কি তাদের কাজের কারণে আমাকেও কাজে নামতে হয়। আমার মনে হয় এটা নতুন একটা আর্টের সূচনা হলো, যার প্রধান অনুসঙ্গ পৃথিবী নামক গ্রহের অভ্যন্তর থেকে বের হওয়া তরল আগুন আর প্রকৃতি প্রদত্ত সবজি।ৃ প্রথম দিকে পুরো প্রকল্পটি গুছিয়ে নাসার কাছে পেশ করতে হয়েছিল আমাদের। যখন নাসা পুরো প্রকল্পটি অনুমোদন করলো তখনই আমরা এই পরীক্ষাটি করতে পারি।’
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/