বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০১৬, ০২:৩৬:৩১

বাঁশি বাজিয়ে পড়ার খরচ জোটায় শাহাদাত

 বাঁশি বাজিয়ে পড়ার খরচ জোটায় শাহাদাত

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ছোট্ট শিশু শাহাদাত মিয়া।  মন মাতানো তার বাঁশির সুর।  তার বাঁশির সুরে ছুটে আসে গানপাগল মানুষরা।  ধানমন্ডি থেকে কলাবাগান, রাজধানীর বিভিন্ন মহলায় তার বাঁশির মনোমুগ্ধকর সুর শোনা যায়।  বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ পেয়ে থাকে শাহাদাত।  

তার বাঁশির সুর কারো কানে গেলে একবার ঘুরে তাকাতেই হয়।  এই ক্ষুদে বংশীবাদক বিভিন্ন গানের কথা বাঁশির সুরে ফুটিয়ে তুলে মাতোয়ারা করছেন পথচারীদের।

বাঁশি বাজানোর পাশাপাশি বাঁশির পসরাও থাকে পাশে।  তার বাঁশির সুর শুনে মুগ্ধ দর্শক-শ্রোতাদের কেউ কেউ ছবি তুলেন, কেউবা তৈরি করেন ভিডিও।

কিন্তু সেদিকে বংশীবালকের ভ্রুক্ষেপ নেই, সুর নিয়েই ধ্যান-জ্ঞানে মগ্ধ সে।  তার বাঁশির অসম্ভব সুর সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়।  

সেই শাহাদাত মিয়া বাঁশি বাজিয়ে খরচ জোগায় পড়াশোনার, হাল ধরে সংসারের।  স্কুলে সে ‘বংশীবালক’ নামেই পরিচিতি।  

মাত্র আট বছর বয়সেই এলাকায় তার বাঁশির সুর ছড়িয়ে পড়েছে।  রায়েরবাজারের জাফরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র শাহাদাত।

বংশীবালক শাহাদাতের বাবা রাজু মিয়া। নিজেও একজন বংশীবাদক।  দুজনেই রাস্তায় রাস্তায় বাঁশি বিক্রি করেন।  সকালে স্কুলে যায় আর বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বাবার সঙ্গে বাঁশি বিক্রি করে শাহাদাত।

সেসব বাঁশির মূল্য পঞ্চাশ টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত।  নবীনবরণ, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান, পয়লা বৈশাখ, বিজয় দিবসসহ বিভিন্ন দিবসের যেকোনো আয়োজনে শাহাদাত আমন্ত্রণ পেলে বাঁশি বাজায়।

নিজের স্কুল ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাঁশি হাতে হরহামেশাই দেখা মেলে শাহাদাতের।  শাহাদাতের বাঁশির সুর একবার যে শুনেছে আরেকবার শুনতে ইচ্ছা করবে।  শাহাদাতের বাঁশির সত্যিই অসম্ভব সুর, যে কাউকে পাগল করবে।

১২ মে,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে