এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আরেকটু বিলম্ব হলেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে যেতে পারত। তাতে সব আরোহীর মৃত্যু ছিল নিশ্চিত। ১৬০ আরোহী নিয়ে বিমানটি নিউইয়র্কের হাডসন নদীতে পড়ল। তবে বরফশীতল হাডসন নদী থেকে সব যাত্রীকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়াটাও কম কঠিন কাজ ছিল না।
নিজের জীবনকে বাজি রেখে সেই দুঃসাহিক কাজে সহযোগিতা করেছেন সেই বিমানেরই এক যাত্রী ডেভ স্যান্ডারসন। বছরে আমি এক লাখ ৬৯ হাজার মাইল পাড়ি দেই বিমানে। তাই আকাশপথে অনেকটা সময় থাকা হয় আমার।
ওরাকলে সেলস ম্যানেজার হিসেবে আমার কাজ শেষ করে দিনের শেষ ফ্লাইটে বাসার পথ ধরি। ১৫ জানুয়ারি নিউইয়র্ক থেকে নআসির্থ আসিফ ক্যারোলিনার চারলটে যাওয়ার জন্য বিকেল ৫টার ফ্লাইটের টিকিট করেছিলাম। তবে সেদিন সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল।
আমি ট্রাভেল এজেন্টকে ফোন করলাম এবং তিনি ইউএস এয়ারওয়েজের ৩টা ২৫ মিনিটের ফ্লাইটের ব্যবস্থা করলেন। আমার কাছে এটা ছিল প্রতিদিনের মতো বাড়ি ফেরার স্বাভাবিক একটা বিমান ভ্রমণ। ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই বাড়ি গিয়ে স্ত্রী আর সন্তানদের সান্নিধ্য পাওয়ার কথা।
কিন্তু বিমানটি ওড়ার ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে বাঁ দিকের ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ ঘটল। আমি সেদিকেই ছিলাম। বিস্ফোরণের শব্দ শুনলাম ও জানালায় আগুন দেখলাম। তখনো বুঝিনি দু’টি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যাবে এবং বিমানটি ওড়ার সব শক্তি হারাবে।
ভয়ে জমে যাওয়ার মতো অবস্থা। সবাই চার দিকে তাকাচ্ছিল কিন্তু কী করবে কিছুই বুঝতে পারছিল না। বিমানটি কিছু একটার ওপর দিয়ে উড়ে গেল, পরে একজন বলেছিল, সেটি ছিল জর্জ ওয়াশিংটন ব্রিজ। বিমানটি খুব নিচু দিয়ে উড়ছিল।
আমি পানি দেখতে থাকলাম। নিউইয়র্কের আকাশচুম্বী ভবনরাজি আরো কাছাকাছি আসতে লাগল। চিন্তা করছিলাম, পাইলট বুঝি হাডসন নদীতেই বিমানটি নামাতে যাচ্ছে। সূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/