এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : পাখা ঘোরে বনবনিয়ে। এবার বাড়িটাও তাই। স্থাপত্যের নয়া চমক ‘রোটেটিং টাওয়ার৷ টঙের রেস্তোরাঁ শুধু নয়, গোটা বাড়ি চরকিপাক।
ফ্ল্যাট কিনেছেন, অথচ মনটা এমন খুঁতখুঁত করছে। শোয়ার ঘরে সূর্যের আলো ঠিক মতো আসছে না! আচ্ছা, যদি এমন হত আপনার মাল্টিস্টোরি বিল্ডিংটাই ঘুরন্ত, ঠিক যেন লাট্টু?
তাহলে যেখানটায় আলো কম, ঘুরে গিয়ে ঠিক চলে আসবে সূর্যালোকের আঙিনায়। আবার যিনি রাস্তার দিকে ঘর পেলেন না বলে মনে মনে গোস্যা করেছিলেন, তিনিও কিছুক্ষণ পরপর পেয়ে যাবেন চাহিদার ভিউ। এটাও স্থাপত্যের হালের চমক।
শুরুটা হয়েছিল ব্রাজিলে৷ ২০০১ সালে তৈরি হয়েছিল 'স্যুট ভোলার্ড' নামে একটি ঘুরণবাড়ি৷ তারপর দুবাইয়ে৷সেখানে 'ডায়নামিক টাওয়ার' নামে একাশি তলা বাড়ি নিজের অক্ষদণ্ডকে কেন্দ্র করে পুরো ঘুরতে সক্ষম।
নির্মাতা সংস্থার দাবি, ৯০ মিনিটে টাওয়ারের এক-একটি ফ্লোর পুরো ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে আসতে পারবে। আর প্রতিটি ফ্লোরই আলাদা আলাদাভাবে ঘুরবে৷
ফলে বাইরে থেকে মনে হবে আকাশের গায়ে একটা বিপুল বহরের বাড়ি প্যাঁচ দিয়ে উপরে উঠে যাচ্ছে।
নির্মাতা সংস্থা ডায়নামিক আর্কিটেকচারের বক্তব্য, শুধু দুবাই নয়, লন্ডন-প্যারিস-নিউইয়র্ক-মস্কোতে গড়ে তোলা হবে স্পিনিং বিল্ডিং।
আর হাওয়ার বেগ কাজে লাগিয়ে ঘোরার ব্যাপারটা অনেকটাই সেরে ফেলা হবে। বাড়ির প্রতিটি অংশে পড়বে সূর্যালোক৷ বাড়ির বাসিন্দারা চারপাশে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পেয়ে যাবেন পর্যায়ক্রমে।
শুধু দিল্লিতেই নয়, আমাদের গোটা দেশেই এই ঘুরণবাড়ি পেতে ঢের দেরি৷ কারণ,অনেকরোটেটিং টাওয়ার চালু রাখতে বিপুল পরিমাণ এনার্জি দরকার।
আমাদের মতো দেশে একটি টাওয়ার ঘোরানোর জন্য এতটা শক্তি ব্যয় ঠিক কি-না, ভাবার বিষয়। তাছাড়া তেমন উচ্চতা না থাকলে এই ঘোরার মজা ঠিকমতো মালুম হবে না। একটা বিশতলা বাড়িকে রোটেটিং টাওয়ার করে তেমন লাভ নেই।
বাড়িটা ৭০ থেকে ১০০ তলা করলে, তবে এটার মজা পাওয়া যাবে। দুবাইয়ের মেরিন রক-এর উপর রয়েছে রোটেটিং টাওয়ার। কিন্ত্ত আমাদের এখানকার জমির চরিত্র মেরিন রক-এর থেকে একেবারেই আলাদা। রোটেটিং টাওয়ার তৈরির খরচও বিপুল।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/