বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:২৯:২৭

ডিজিটাল পানি!

ডিজিটাল পানি!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : টাকা তুলতেই সাধারণত এটিএম বুথ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এবার   বুথে ঢুকে নির্দিষ্ট কার্ড প্রবেশ করাতেই বেরিয়ে আসছে পানি! ভারতের নয়াদিল্লিতে সুষ্ঠুভাবে বিশুদ্ধ পানি বণ্টনের জন্য পানির এটিএম ব্যবহার করা হচ্ছে।
সিএনএনের খবরে জানানো হয়, বছর কয়েক আগ পর্যন্তও পানির জন্য দিল্লিবাসীর হাহাকার ছিল দুঃসহ। ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে পানির জন্য লাইন দিয়ে দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে ২০১৩ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ‘সর্বজল’ প্রকল্পটি শুরু করা হয়। সবার জন্য পানির সুবিধা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, সে সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অনেকটা পরিস্থিতি যাচাই করার ব্যাপার ছিল এটি।

ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বিশুদ্ধ পানির সুবিধাবঞ্চিত ভারতের ১৫ কোটি মানুষ। রাতারাতি এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, দরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। তাই বলে তো আর বসে থাকা যায় না। স্বল্প সময়ের মধ্যে দিল্লি শহরে পানির সমস্যার সমাধান করতে সরকার ৫০০টি ‘ওয়াটার এটিএম’ স্থাপনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে।
সামাজিক ব্যবসার আওতায় অভিনব এ ভাবনাটির যাত্রা শুরু ২০১৩ সালে। তখন পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে ‘সর্বজল’ নয়াদিল্লির একটি পুনর্গঠিত কলোনিতে ১৫টি ওয়াটার এটিএম স্থাপন করা হয়। রুপিতে মিলত চার লিটার পানি, যা ভারতের জীবনযাত্রায় বেশ সস্তা।

‘সর্বজল’-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক অমিত মিশ্র জানান, প্রথম দিকে বাসিন্দারা তেমন সাড়া দিতেন না। এটিএমের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহের উপকারিতা সম্পর্কে তাঁদের দিনের পর দিন বোঝানো হয়। একপর্যায়ে বাসিন্দারা বিষয়টি বুঝতে শুরু করেন।

ভগবতী নামে ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘এখন আর পানি নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। ইচ্ছামতো পানি নিতে পারি।’ কারণ, ভগবতীর আছে রিচার্জেবল স্মার্টকার্ড। অর্থ ভরে নিজের প্রয়োজনমতো বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহের সহজ উপায়।

পুরো বিষয়টি সম্পর্কে ‘সর্বজল’-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক অমিত মিশ্র বলেন, ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে স্থানীয় প্ল্যান্টে বিশুদ্ধ করা হয়। পরে সৌরশক্তিচালিত ‘ওয়াটার এটিএম’-এর মাধ্যমে পানি বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়। এবার অর্থ দিয়ে কার্ড কিনে নিজের প্রয়োজনমতো বিশুদ্ধ পানি কিনে নেওয়া গ্রাহকের হাতের মুঠোয়।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে