এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : প্রায় ৯ বছর আগে মুখ, গলা ও দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এসিডে ঝলসে গিয়েছে। ৪৩ বার তার দেহকে নিয়ে কাটাছেঁড়া হয়েছে। হাসপাতালের শয্যায় কেটেছে জীবনের অমূল্য দিনগুলো। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে এসিডের জ্বালায় শরীর ক্ষতবিক্ষত হলেও এসিড পোড়াতে পারেনি ২৮ বছরের মনিকার স্বপ্নকে ও তার লড়াইকে।
তবে নিউইয়র্কের পারসনস নিউ স্কুল অব ডিজাইনে ফ্যাশন মার্কেটিং নিয়ে পড়ার স্বপ্নটা হয়ত অধরাই থেকে গেল মনিকার। শারীরিক বাধাকে জয় করেও তার লক্ষ্য পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে অর্থ। শরীরের খুঁত ঢাকতে ইতিমধ্যেই ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। পরিবারের মাথা বাবার অকালমৃত্যুতে থমকে গিয়েছে মনিকার স্বপ্নের দৌড়।
তবে থেমে গেলেও হাল ছাড়তে রাজি নন লক্ষেèৗয়ের বাসিন্দা মনিকা। নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য প্রয়োজন ৫০ হাজার ডলার। তাই ইউ টিউবের একটি ভিডিও এর মাধ্যমে সকলের কাছে অর্থ সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন মনিকা। সুন্দর একটি স্কার্ট সঙ্গে মানানসই কালো টপ গলায় সুন্দর একটা স্কার্ফ জড়ানো মনিকাকে দেখলেই বোঝা যাচ্ছে ফ্যাশনদুরস্ত সে।
অথচ ওই গলার স্কার্ফের আড়ালে রয়েছে অস্ত্রোপচারের ব্যান্ডেজ। বিবাহ প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ায় পাঁচজন ব্যক্তি এসিড বাল্ব ছুড়ে দেয় মনিকার ওপর। পাঁচজনের ২ জন জেলের পিছনে রইলেও তিনজন জামিনে মুক্ত। নিজেকে দুর্ঘটনার শিকার না ভেবে মনিকার সমস্ত শক্তি একত্র করেছেন নিজের পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সম্পূর্ণ করার জন্য।
দিল্লির নিফ্ট থেকে ফ্যাশন ডিজাইনে অনুর্ধ্ব স্নাতক কোর্স করার সময়ে এসিড হামলার শিকার হন মনিকা। বারবার বিচার চেয়ে ক্লান্ত মনিকার পরিবার। নতুন আইনে এসিড আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণের নির্দেশ থাকলেও মনিকার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতায় তা সম্ভব হচ্ছে না। বারবার চিকিৎসার বিল জমা দিয়েও আদালত থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি তিনি।
তার এই অদম্য লড়াইয়ের বর্তমান সঙ্গী মনিকার ভাই। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। স্নাতক হওযার পর মনিকা পোশাক নির্মাতা নামি ব্র্যান্ড-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শারীরিক দুর্বলতার কারণে সেগুলির সঙ্গে যুক্ত থাকা সম্ভব ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে ভিডিওতে আবেদন। মনিকা জানিয়েছেন, এসিড হামলার শিকার হয়ে বেঁচে থাকতে চাই না। চাই নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বপ্ন পূরণ করতে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/