বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১২:২৭:৩৫

জার্মানরা কেন অন্যদের চেয়ে আলাদা!

জার্মানরা কেন অন্যদের চেয়ে আলাদা!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : জার্মানরা কথায় কথায় ধন্যবাদ দেন৷ এ অভ্যাস তাঁদের একেবারে ছোট থেকেই গড়ে ওঠে৷ এমনকি ছোট্ট বাচ্চাদেরও যদি কেউ কোনো উপহার বা চকলেট দেয়, তখন তার মা লক্ষ্য রাখেন বাচ্চা ধন্যবাদ দিলো কিনা৷ শিশুটি ধন্যবাদ না দিলে মা মনে করিয়ে দেন, ‘‘সোনামনি, কী....বলতে হয়?’’

ফুল, চকলেট বা অন্যকিছু

জার্মানিতে কোনো বাড়িতে দাওয়াত বা নিমন্ত্রণ খেতে যাওয়ার সময় অতিথি অবশ্যই কিছু না কিছু সাথে নিয়ে যান৷ কেউ বা আগে থেকে জেনে নেন কী নিলে হোস্টের সুবিধা হয়৷ অন্যথায় ফুল, চকলেট বা অন্য যে কোনো কিছু অবশ্যই সঙ্গে থাকে৷

ধন্যবাদ দেওয়ার সুন্দর ধরণ

জার্মানরা বাঙালিদের মতো এত রান্নাবান্না না করলেও খেতে, খাওয়াতে এবং হৈচৈ করতে ভালোবাসেন৷ তবে তাঁদের দাওয়াতটা হয় কিছুটা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে৷ দাওয়াত খাওয়ার পর কেউ কার্ড পাঠিয়ে, কেউ বা টেলিফোনে আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানান৷

খাওয়ার সময় শব্দ না করা

একসাথে টেবিলে খাওয়ার সময় মুখে শব্দ করা জার্মানদের কাছে অভদ্রতার সামিল৷ খাবার চিবানোর সময় কারো মুখে শব্দ হলে, জার্মানরা কপাল কুঁচকে তাকান৷ মুখে কিছু না বললেও এমন ভাব যেন বলছে: শব্দ না করে খাও৷

প্রতিবেশীদের জানিয়ে রাখা

বাড়িতে বড় কোনো পার্টি বা উৎসবের আয়োজন করা হলে তারা আগে প্রতিবেশীদের জানিয়ে রাখার একটা চল আছে জার্মানিতে, যাতে কেউ বিরক্ত বোধ না করেন৷ জার্মানিতে ছুটির দিন, অর্থাৎ রবিবার এবং যে কোনোদিন রাত ১০টার পর কেউ-ই বেশি শব্দ করেন না৷

নারীদের সম্মান দেখানো

কোনো নারী গাড়ি থেকে নামার সময় বা তাঁর সামনে দরজা থাকলে, সঙ্গের পুরুষ বন্ধুটি দরজা খুলে দেন৷ বাড়িতে নারী অতিথি এলেও তাঁর ওভারকোটটি খুলতে সাহায্য করে পুরুষরা৷ কেউ এ ধরণের ভদ্রতা না দেখালে, তিনি এ সব রীতি জানেন না বলে ধরে নেওয়া হয়৷

প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলাপ

গৃহপ্রবেশের পর অনেকেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলাপ করার জন্য ছোটখাটো পার্টি করেন৷ এভাবে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে৷ এই রীতি অবশ্য অফিসেও প্রচলিত৷ কাজে ‘জয়েন’ করার পর টুকটাক খাবার, চা, কফি বা শ্যাম্পেনের সঙ্গে সহকর্মীদের পরিচিন হন অনেকে৷

সহযাত্রীদের সাহায্য

ধরুন আপনি ট্রামে বা বাসে যাবেন, কিন্তু ‘স্টপেজ’ পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই যানবাহনটি ছেড়ে দিচ্ছে৷ তখন অনেক সময় দেখা যায় যে, অন্য কোনো যাত্রী আপনার দৌড়ানো দেখে ট্রাম বা বাসের দরজা ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন, একেবারে আপনি ওঠা পর্যন্ত৷

রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না?

আপনি পায়ে হেঁটেই হোক অথবা গাড়িতে থাকুন, কোনো বাড়ির নম্বর বা আপনার গন্তব্যটি খুঁজে পাচ্ছেন না৷ পথচারী কোনো জার্মানকে সেকথা বলতেই তিনি এমন সুন্দর করে আপনাকে রাস্তাটা বুঝিয়ে দেবেন যে, গন্তব্যে পৌঁছতে কোনো সমস্যাই আর হবে না৷

বাড়ির কাজে সাহায্য

প্রায় প্রতিটি জার্মানই কম-বেশি মেরামতির কাজ জানেন৷ তা পানির পাইপ লাগানো, আলমারি তৈরি অথবা ঘরের লাইট লাগানো হোক ৷ এ সব কাজের জন্য আসলে মিস্ত্রিদের ঘণ্টায় অন্তত ৮০ ইউরো দিতে হয়৷ তাই যাঁরা এ কাজ জানেন না, তাঁদের সাহায্য করতে প্রতিবেশী বা বন্ধু-বান্ধবরা এগিয়ে আসেন৷
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে