এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বৃক্ষহীন এলাকা, উত্তাল বাতাস, সামুদ্রিক ঢেউ, জনমাববহীন এমন জায়গায় কে বাস করতে চায়। সত্যি বিষয়টি ভাবার মতো। তবে সত্য ঘটনা হলো, এটা আসলে একটি অস্থায়ী রিসোর্ট টাইপের বাড়ি। আয়ারল্যান্ডের এলিওয়ি ছোট্ট একটি দ্বীপ।
দ্বীপের সবুজের মাঝে ছোট্ট একটি বাড়ি। একে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন ও নির্জন বাড়ি। মূলত দীর্ঘ ঠোঁটের পাফিন পাখি শিকারিরা মৌসুমে এ বাড়িটি থাকার জন্য ব্যবহার করেন। কারণ পাফিন পাখির প্রজননের জন্য দ্বীপটি রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। একসময় এ জায়গায় পাফিন পাখি শিকার, পশু পালন ও মাছ ধরার কাজে বসবাস করত পাঁচটি সমৃদ্ধ পরিবার।
প্রায় ৩০০ বছর আগে তারা ভাবতে থাকেন এই দ্বীপ পাখি শিকার ও পশুপালনের জন্য খবু একটা ভালো জায়গা না। সুতরাং, তারা সেখান থেকে অন্য জায়গায় সরতে শুরু করেন। কিন্তু পাফিন পাখি শিকারের জন্য এর চেয়ে ভালো স্থানও তারা আর এ পশ্চিমাঞ্চলে খুঁজে পেল না।
সুতরাং, ১৯৫০ সালে এলিওয়ি হান্টিং অ্যাসোসিয়েশন ওই দ্বীপে অস্থায়ীভাবে থাকার জন্য একটি বড় বাড়ি তৈরি করল তাদের সদস্যদের জন্য। এটা শুধু পাফিন পাখি শিকারের জন্য। এখানে সুপেয় পানির উৎস নেই। তবে বৈজজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রকৃতি থেকেই সংগ্রহ করা হয় পানি। এখানে নেই বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ব্যবস্থা।
কথা বলার জন্য যদি সঙ্গী না থাকে তবে পাখি আর প্রকৃতিই ভরসা। উত্তর আটলান্টিক সাগরে অবস্থিত এ দ্বীপ সব সময় সামুদ্রিক পাখিদের জন্য খুবই প্রিয়। তবে সেটা নিকটতম জনবসতি থেকে এত দূরে যে ভাবতেই অবাক লাগে সেখানে মানুষ শখ করে যায়। কারণ সব ধরনের যোগাযোগ থেকে এ বাড়িটি বিচ্ছিন্ন।
বনের গভীরের অনেক নির্জনে হয়তো জনবসতি আছে। তবে এমন বাড়ি সেখানে নেই। বাড়িটি নিয়ে অনেকের একটি ভুল ধারণা হলো, আয়ারল্যান্ড সরকার দেশটির গায়ক বিজর্ককে উপহার দিয়েছে। কিন্তু এটা সেই বাড়ি নয়। তবে বিজর্ক এমন একটি বাড়ি তৈরি করেছেন অন্য একটি দ্বীপে।