বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০২:৪২:৪৫

নারীর মুক্তি আনন্দ বাইসাইকেল!

নারীর মুক্তি আনন্দ বাইসাইকেল!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : নারীদের মুক্তির আনন্দ মেলে বাইসাইকেলে চেপে! বিশ্বের অধিকাংশ দেশে মেয়েদের বাইসাইকেলে চড়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা৷ তবে আফগানিস্তানের কঠোর ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসনে মেয়েদের খেলাধুলায় নিরুৎসাহিত করা হয়৷


যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের দশ সদস্যের উইমেন সাইক্লিস্ট দল প্রচলিত সেই ধারণাকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে৷ বাইসাইকেলের হাতল চেপে ধরে মেয়েগুলো যখন হাওয়ার বেগে পাহাড়ি পথ বেয়ে নামে, কোনো পুরুষের তীর্যক দৃষ্টি, কোনো কটূক্তিই তাঁদের যেন ছুঁতে পারে না৷ অথচ মাত্র এক প্রজন্ম আগেও আফগানিস্তানে এমন দৃশ্য ছিল কল্পনাতীত৷

এ দলের সদস্যরা জানে, তাদের সামনে ঝুঁকি অনেক৷ কিন্তু তাদের নজর বহু দূরে৷ কেবল ২০২০ সালের অলিম্পিকে অংশ নেয়াই তাদের স্বপ্ন নয়, তারা চায়, আরো আফগান মেয়ে চড়ে বসুক সাইকেলে৷ ২৬ বছর বয়সি মার্জান সিদ্দিকী এই দলের সদস্য এবং সহকারী প্রশিক্ষক৷ তার কাছে বাইসাইকেল যেন মুক্তির প্রতীক৷

‘কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য জানাতে আমরা বাইক চালাই না৷ আমরা সাইকেলে চড়ি কারণ আমরা এটা ভালোবাসি৷ কারণ আমাদের ভাইয়েরা যেটা পারে, আমরাও সেটা করতে পারি৷ কোনো এক সুন্দর ভোরে ট্র্যাকস্যুট আর জার্সি পরে, হেলমেট মাথায় দিয়ে মার্জান আর তার দলের সদস্যরা প্রশিক্ষণের জন্য কাবুল থেকে পাগমানের পাহাড়ি পথে বের হলো৷

১৭ থেকে ২১ বছর বয়সি এই তরুণীদের দেখে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে গেল সালোয়ার কামিজ পরিহিত এক আফগান বালক৷ তার চোখে নগ্ন বিস্ময়৷ কিছুদূর পর টয়োটা ভ্যান চালিয়ে সাইকেলগুলো পাশ কাটালেন মলিন দাড়িওয়ালা এক প্রৌঢ়৷ বিস্ময় ছাপিয়ে তার দৃষ্টিতে প্রকাশ পেল উষ্মা৷ তবে তাতে সাইকেলের গতি কমলো না৷

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে