১. লক কোড : ইমেইল, টেক্সট ম্যাসেজ, ছবি, ভিডিও কিংবা ফোনবুক এন্ট্রি- যাই হোক না কেন, আপনার স্মার্টফোনে অসংখ্য ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে। আর এসব তথ্যের নিরাপত্তার জন্যই আপনার প্রয়োজন একটি লক কোডের। এক্ষেত্রে চার অংকের একটি পিন নম্বর কিংবা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি কিংবা চোরের হাত থেকে স্মার্টফোনের কিছুটা হলেও নিরাপত্তা দেবে।
২. ‘ডু নট ট্র্যাক’ : বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপনি যেসব তথ্য দেন সেগুলো তারা সংরক্ষণ করে রাখেন। এরপর তারা সে অনুযায়ী আপনাকে বিজ্ঞাপন প্রচার করে বা নানা কাজে ব্যবহার করে। আর আপনি যদি মোবাইল ফোনে ‘ডু নট ট্র্যাক’ অপশনটি সেট করেন, তাহলে এ কাজটি তাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়।
৩. নম্বর গোপন করুন : বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আপনার ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। তাই তাদের ফোন করার প্রয়োজন হলে নম্বরটি গোপন করে নিন। এতে তারা আপনার নম্বরটি সংরক্ষণ করতে পারবে না। ফলে ভবিষ্যতে বিরক্ত করতেও পারবে না।
৪. স্প্যাম কল : বহু টেলিমার্কেটিং সার্ভিস রয়েছে, যারা আপনার মোবাইল ফোনে অবাঞ্ছিত কল করতে পারে। তাদের এ কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য সন্দেহজনক নম্বর থেকে ফোন ধরা বাদ দিন। অনেকেই আপনার মোবাইলে ফোন দিতে পারে, নম্বরটি চালু আছে কি না, তা দেখার জন্য। নম্বরটি চালু থাকলে তারা আপনার নম্বর অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দিতে পারে। এতে ক্রমে বাড়তে থাকবে স্প্যাম কল।
৫. রিকোভারি অ্যাপ : হারানো মোবাইল ফোন খুঁজে বের করার জন্য কিছু অ্যাপ রয়েছে। অনেকেই মোবাইল ফোন না হারানো পর্যন্ত এ বিষয়ে তৎপর হন না। কিন্তু আগে থেকেই যদি ফোন হারিয়ে গেলে কি করতে হবে, তা ঠিক করে নেন, তাহলে তা সময়মতো অনেক কার্যকর হবে। আগে থেকেই স্মার্টফোনে এসব অ্যাপ ইনস্টল করে রাখতে হবে। এর মাধ্যমে মোবাইল ফোনটি কোথাও হারিয়ে ফেললে কিংবা চুরি হয়ে গেলে দূর থেকেই সেটা লক করে দেওয়া সম্ভব। আরসংরক্ষিত তথ্য মুছে ফেলাও সম্ভব অ্যাপের সাহায্যে। ক্ষেত্রবিশেষে স্মার্টফোনের জিপিএস ব্যবহার করে এর সঠিক অবস্থানের তথ্যও নির্ণয় করা সম্ভব।
৬. আপনার তথ্য : আপনার স্মার্টফোন যদি হারিয়ে যায় এবং তা ভালো কোনো মানুষের হাতে পৌঁছায়, তাহলে তা ফিরে পাওয়ার একটি সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু সেজন্য আপনার স্মার্টফোনে থাকতে হবে ঠিকানা। যদি স্মার্টফোনটি ভালোভাবে লক করা থাকে কিংবা চার্জ শেষ হয়ে যায়, তাহলে তারা কীভাবে আপনাকে খুঁজে পাবে? এজন্য তাতে আপনার নাম-ঠিকানা সেখানে লিখে রাখা প্রয়োজন। এ ছাড়াও রাখতে পারেন কোনো বন্ধুর ফোন নম্বর।
৭. নিরাপদ থাকুন : স্মার্টফোনের নানা নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা রাখার পরেও ফোনটি যে চুরি হবে না, এমন কোনো কথা নেই। এ কারণে স্মার্টফোনটির সঙ্গে একটি মজবুত ফিতা বাঁধতে পারেন। এছাড়া জনবহুল স্থানে স্মার্টফোনটি নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে। যেন সহজে হারিয়ে না যায়। গণপরিবহনে যাতায়াতের সময়, বিশেষ করে ওঠানামার সময় ব্যাগের অনেকখানি ভেতরে তা রাখতে হবে। যেন সহজে কেউ পকেটমারি বা চুরি করতে না পারে। এছাড়া ছিনতাইকারীদের প্রলুব্ধ করে, এমনভাবে তা দেখানো যাবে না। নির্জন কিংবা বিপজ্জনক স্থানে স্মার্টফোন লুকিয়ে রাখতে হবে।