বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০২:৫৫:৪৪

সুখী হতে বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ

সুখী হতে বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সুখী হওয়ার জন্য মানুষ কতোকিছুই না করে। কিন্তু তার পরও সেই কাঙ্খিত সুখের দেখা মিলে না মানুষের। তাহলে কি মানুষ সুখের সন্ধান পাবেনা? অবশ্যই পাবে। আর সে জন্য মানুষকে ফেলে দিতে হবে বহু খারাপ অভ্যাস। গ্রহণ করতে হবে ভালো কিছু। পরিবর্তন আনতে হবে দৃষ্টিভঙ্গির।

আমাদের চারপাশে কতো মানুষ। তার মধ্যে কিছু মানুষকে দেখলে মনে হয় তারা সব সময় শান্ত এবং সুখী। তাদের সামনে দিয়ে ঝড় বয়ে গেলেও স্রেফ পাহাড়ের মতো শান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা।

শান্ত এবং সুখী মানুষরা সব বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব রাখে। ইতিবাচক বা নেতিবাচক সব বিষয়ের প্রতি তারা ইতিবাচক থাকেন। তবে কাউকে উপদেশ দেওয়ার সময় সহজেই বলা যায়, সবকিছু পজিটিভভাবে দেখবেন। কিন্তু বাস্তবে তা করা কিন্তু খুব কঠিন।

শান্ত ও সুখী জীবনের জন্য গড়ে তুলুন বিশেষজ্ঞরা ১২টি আচরণগত পদ্ধতির কথা বলছেন। তাই প্রচণ্ড চাপের মুখে এসব পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনিও তাদের মতো হয়ে উঠতে পারেন।

১. নিয়মিত ব্যায়াম : ব্যায়ামে এনড্রোফিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন সুখের অনুভূতি সৃষ্টি করে। এসব মানুষরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন।
২. মানসিক পরিপূর্ণতার চর্চা : ব্যাপক ব্যস্ততাপূর্ণ জীবনযাপনের মধ্যেও ধীর-স্থির থাকতে হলে মনটাকে শান্ত রাখতে হবে। মেডিটেশনের দ্বারা মনটাকে সুখে-শান্তিতে পরিপূর্ণ করে তোলা যায়।
৩. তারা নিজের সত্যতার বিষয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন : নিজের ভিতরের সত্যটা উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন। নিজের বিবেক বুদ্ধি কী বলতে চাইছে তা জানার চেষ্টা করুন। যেকোনো বাধাকে দূর করে খোলামেলা চিন্তা করুন।
৪. সময়ের ব্যবহার : বাধা-বিপত্তির পর তারা রিচার্জ হওয়ার চেষ্টা করুন। শান্ত মনের মানুষরা কিছুটা সময় ব্যয় করেন চার্জ হয়ে নেওয়ার জন্য। এ সময়টি জীবনীশক্তি দ্বিগুণ পরিমাণে ফিরিয়ে দেবে।
৫. যা বলেন তাই বোঝান : কথাকে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে বলেন না তারা। এতে বিষয় ঘোলা হয়ে যায়। মনের অবস্থাও হয় তেমনি। আর যা বলতে চান তাই পরিষ্কার করে উপস্থাপন করাটা তাদের বৈশিষ্ট্য।
৬. সব বের করে দেওয়া : অনেক সময় চিৎকার করে কান্না আপনার মনের সব জেদ-ক্ষোভকে দূর করে দিতে পারে। এমন মানুষরা বুকে জমানো সব যাতনাকে মাঝে-মধ্যে এভাবে বের করে দেন।
৭. বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষদের মাঝে থাকেন : প্রকৃতিগতভাবেই তারা সামাজিক মানুষ। তাই তারা বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহানুভূতিশীল মানুষদের মাঝে থাকেন এবং এমনই মহল হড়ে তোলেন। এতে করে এমনিতেই মনে সাহস থাকে এবং সবকিছু স্থিতিশীল মনে হয়।
৮. তৃপ্ত থাকা : আমাদের চারপাশ থেকে প্রাপ্ত নানা আর্শীবাদের বদৌলতে তৃপ্ত থাকার চেষ্টা করেন তারা। ফলে সহজে অতৃপ্ত বোধ তাদের হয় না। মনে অশান্তি চলে আসে না।
৯. যথেষ্ট ঘুমান তারা : ঘুম এমন একটি জিনিস যা আমাদের মানসিক ও দৈহিকভাবে সুস্থ-সবল রাখে। মনটাকে উৎফুল্ল রাখতে তারা তাই যথেষ্ট পরিমাণে ঘুমানোর অভ্যাস করে নিয়েছেন।
১০. প্রযুক্তি সঙ্গে বিচ্ছেদ : সব সময় প্রযুক্তি নিয়ে পড়ে থাকেন না তারা। এটি দেহ-মনে এক ধরনের অবসাদ এনে দেয়। তা ছাড়া সবকিছু ছেয়ে খোলা বাতাসে প্রকৃতির মাঝে যাওয়া উচিত মাঝে-মধ্যে।
১১. সুযোগের অপেক্ষায় থাকা : শান্ত ও সুখী মানুষরা সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। তারা জানেন, সুযোগ আসবেই। কাজেই তার জন্য অপেক্ষায় থাকার মধ্যে কোনো চাপ থাকে না। বরং সুযোগ কেনো আসেছে না বা কেনো হচ্ছে না ইত্যাদি চিন্তা পেরেশান করে দেবে।
১২. শিখতে শিখতে এগিয়ে যাওয়া : তারা চারপাশ থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করেন। জীবনের চলার পথে দীর্ঘ যাত্রা করতে হবে। তাই এখানে যেকোনো পরিস্থিতি থেকে শিখতে হবে। আর সেই শিক্ষাটি নেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। ফলে প্রতিটি শিক্ষা তাদের আরো এক ধাপ শান্ত ও ধীর হতে শেখায়। সূত্র : হাফিংটন পোস্ট

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে