মাটির তৈরি হস্তশিল্প রয়েছে। চার হাজার বছরের পুরনো এ কবরে আরো পাওয়া গেছে হাতে বানানো স্বর্ণের বিভিন্ন জিনিসসহ মানুষ বলির সম্ভাব্য চিহ্ন। দক্ষিণ ককেশাসের জর্জিয়ায় এক দল পুরাতত্ত্ববিদ এই কবরটি খুঁজে পেয়েছেন। সেন্টার অব আর্কিওলজি অ্যাট দ্য জর্জিয়ান ন্যাশনাল মিউজিয়ামের প্রধান জুরাব মাখারাৎজ্জি বলেন, এই কবরটি সম্ভবত কোনো গোত্র প্রধানের বলে মনে হচ্ছে।
আজ থেকে ৪ হাজার বছরে আগের ব্রোঞ্জ যুগের প্রথম দিকের কবর এটি। যেখানে আরো ছিল চকমকি পাথর, কাঠের পিপে, অবসিডিয়ান ধনুকের ফলা, কাঠ ও চামড়ার হস্তশিল্প, কাঠের দারুণ কাজ করা একটি চেয়ার। সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ব্যাসেলে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস অন দ্য আর্কিওলজির এক অনুষ্ঠানে পূর্বের মহামূল্যবান আবিষ্কারের যাবতীয় তথ্য তুলে ধরেন মাখারাৎজ্জি।
তিনি জানান, ওই কবর খানায় চার চাকার যে দুটি রথ পাওয়া গেছে তা এখনো ভালো অবস্থায় রয়েছে। এতে নানা ধরনের কারুকাজ খচিত রয়েছে। এর ভেতরে বিভিন্ন বুনো ফলের নমুনাও রয়েছে। লাইভ সায়েন্সকে গবেষক ই-মেইলের মাধ্যমে জানান, এখানে সাতজন মানুষের কবরস্থ হওয়ার প্রমাণও মিলেছে।
এদের মধ্য একজন প্রধান এবং অন্যরা সম্ভবত তার পরিবারের সদস্য এবং ভৃত্য হতে পারে। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে তখনো ওই স্থানের মানুষ ঘোড়াকে পোষ মানাতে পারেনি। তাই সেখানে কোনো পশু বা রথ টানার ঘোড়ার সন্ধান মেলেনি। আরেক প্রতিবেদনে তিনি জানান, অন্য এক কারগানে এমনই আরেকটি কবরের সন্ধান মিলেছে যা যিশু খ্রিস্টের জন্মেরও আগে তৃতীয় শতকের বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে এই প্রতিবেদন তিনি তুলে ধরেন প্যারিসের কলেজ ডি ফ্রান্স-এ। দক্ষিণ ককেশাসের এসব অঞ্চলে ইউরোশিয়ানদের সঙ্গে নমাডিক মানুষদের মধ্যে যে আন্তঃযোগাযোগ ছিল তারই প্রমাণ এগুলো। সূত্র : ফক্স নিউজ