এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বিভিন্ন কারণে একজন মানুষের দুশ্চিন্তা থাকতে পারে। কোনো বিষয়ে অতিরিক্ত চিন্তা থেকেই এই দুশ্চিন্তা আসে। প্রতিনিয়তই অনেক ধরনের দুশ্চিন্তার মধ্যে কাটাছে আমাদের দিনগুলো। এই দুশ্চিন্তা আমাদের শুধু ক্ষতিই করে গেল।
দুশ্চিন্তার হাত থেকে নিজেকে অবশ্যই রক্ষা করতে চান আপনি। কিন্তু কীভাবে? এবার জেনে নিন নিজেকে যেভাবে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেবেন।
১. বোঝার চেষ্টা করুন : আপনার খুব বেশি পরিমাণে দুশ্চিন্তা হয়ে থাকলে আপনি কখনই এটিকে বাদ দিয়ে চিন্তা করতে পারবেন না। এ কারণে যতটা সম্ভব প্রথমাবস্থায় দুশ্চিন্তাগুলোকে ধারণ করুন। বোঝার চেষ্টা করুন যে এই দুশ্চিন্তাগুলো ঠিক কী কারণে হচ্ছে এবং এটি থেকে মুক্ত হওয়ার সহজতম উপায় কি? ঠাণ্ডা মাথায় সেইভাবে অগ্রসর হন।
২. ডায়েরি বা নোট লিখুন : দুশ্চিন্তা হলে মাথায় অনেক বেশি প্রেসার পড়ে। এই প্রেসার কমিয়ে আনতে আপনি চাইলে ডায়েরি বা কোনো ছোট নোট লিখতে পারেন। কেননা গবেষণায় দেখা গেছে যে লিখে কোনো মনের ভাব প্রকাশে মানসিকভাবে চাপ অনেকটা হালকা হয়। এ কারণে দুশ্চিন্তার বিষয়গুলো লিখে মনটাকে হালকা করতে পারেন।
৩. আলোচনা করুন : কারও সাথে যদি আপনার দুশ্চিন্তার বিষয়গুলো নিয়ে যদি আলোচনা করেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনার মন অনেক হালকাবোধ হবে। অন্যের পরামর্শ সমালোচনায় আমরা দুশ্চিন্তা বিষয়গুলোর সমাধান পেতেও পারেন। ফলে কিছুটা স্বাভাবিকবোধ করতে পারেন।
৪. জোরে জোরে নিশ্বাস নিন : জোরে জোরে নিশ্বাস নিলে আপনার দুশ্চিন্তা কিছুটা হলেও সংকুচিত হবে। অনেক সময় দুশ্চিন্তার কারণে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। বুকে ব্যথা করে। এ কারণে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে জোরে জোরে নিশ্বাস নিন। এতে করে দেখবেন কিছুটা হালকা লাগবে।
৫. মনকে নিয়ন্ত্রণে নিন : দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষ সাধারণত বিশ্রাম নিতে পারেন না। কেননা তাদের টেনশনে ঘুমই আসে না। এমনকি শুয়ে থেকেও ছটফট করেন। এমতাবস্থায় মনটাকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এনে বিশ্রাম নিতে পারেন। মনোযোগ রেখে বিশ্রাম নিলে এটি মানসিকভাবে কিছুটা প্রশান্তি এনে দেবে।
৬. মেডিটেশন করুন : মেডিটেশন একজন মানুষকে শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবে সুস্থ করে তোলে। মেডিটেশন করলে আপনি এমন অনেক বিষয় থেকে নিজেকে মুক্তি দিতে পারবেন যা অনেক বেশি কষ্টদায়ক। এ কারণে আপনি যদি এই ধরনের বাজে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে মেডিটেশন করুন। ইতিবাচক ফলাফল পাবেন।
৭. কথা বলুন নিজের সাথে : নিজেই যদি নিজের সাথে কথা বলেন তাহলে অনেক জটিল প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়। এ কারণে আপনার দুশ্চিন্তার সমাধানে বা কিছুটা শান্তির জন্য নিজের সাথে নিজেই অনেক্ষণ কথা বলুন। যেকোনো বিষয় নিয়েই কথা বলতে পারেন। এতে করে মানসিকভাবে আপনি কিছুটা বিশ্রাম পাবেন। ফলে একটু ভালো লাগবে।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আল-আমিন/এএস